প্রজাতন্ত্র দিবস নয়, বারাসতের সূবর্ণপত্তনবাসীর কাছে দিনটা `মহালয়া`
এলাকার মানুষজনের মুখে মুখে ফেরে অগ্নিযুগের ইতিহাস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের কাছেই বার্মা কলোনি। মূলত মায়ানমার থেকে আসা লোকজনের বাস। তবে লোকজন চেনে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কলোনি বলেই। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ বাহিনী বা মাস্টারদা সূর্য সেনের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন- সেই সময়কার বিপ্লবীদের পরিজনরা এখনও থাকেন এখানেই।
দেশ স্বাধীন হয়েছে। অনেক লড়াইয়ে পর মিলেছে অধিকার। স্বাধীন দেশে বার্মা কলোনিতে বসতি গড়েন সংগ্রামীরা। আজও তাই প্রজাতন্ত্র দিবস তাঁদের কাছে হয়ে উঠেছে 'মহালয়া'। পূর্বপুরুষদের স্মরণ করার দিন। এলাকার মানুষজনের মুখে মুখে ফেরে অগ্নিযুগের ইতিহাস। ছাতি চওড়া হয়ে যায় গর্বে। বার্মা কলোনির অবশ্য পোশাকি নাম সূবর্ণপত্তন। মণিমুক্তোর মত ছড়িয়ে রয়েছে নানা কাহিনি। আট থেকে আশি- সকলেই নাগাড়ে বলে যেতে পারেন সে সব। শুনতে শুনতে কেটে যাবে আস্ত দিন।
প্রজাতন্ত্র দিবস সে কারণেই একটু অন্যরকম বার্মা কলোনির। আজাদ হিন্দ ফৌজের কায়দাতে আজও চলে কুচকাওয়াজ। সামিল হয় এলাকার কচিকাঁচারা। বছর ৭০-এর স্বপন কুমার নন্দীর বাবা ছিলেন নেতাজির দেহরক্ষী। স্বপন বাবু বলেন, “বাবা মায়ের মুখে নেতাজির যে গল্প শুনেছি, স্মরণ করলে আজও গায়ে কাঁটা দেয়।”
রেনুকানাথ দত্তের স্বামী, ভাসুর দুজনেই আবার মাস্টারদা সূর্য সেনের সঙ্গে ছিলেন। প্রবীণদের কাছ থেকে অতীতের গল্প শুনে বিস্মিত পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সূর্য চৌধুরী। তার কথায়,“আমি মায়ের মুখে শুনেছি আমাদের পাড়া স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাড়া”। ফেরার সময় পাড়ার মোড়ে নেতাজি বাল ব্রিগেড ক্লাবে উচ্চগ্রামে বাজছে “কদম কদম বাড়ায়ে যা”।
আরও পড়ুন- NRC আতঙ্কে সীমান্তে দিয়ে দেশে ফিরছে বাংলাদেশিরা, সরেজমিনে দেখে এল জি ২৪ ঘণ্টা