নিজস্ব প্রতিবেদন: এত গোপনীয়তা কীসের? দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বসন্তোৎসব । কিন্তু মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিসে কীভাবে উৎসবের প্রস্তুতি নেবেন? বিড়ম্বনায় পড়েছেন পড়ুয়ারা। মুখে কুলুপ এঁটেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন পড়ুয়া ও আশ্রমিকেরা। গত বছর করোনা আবহে শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে গিয়েছিল বসন্তোৎসব। আশা ছিল, এবার দ্বিগুণ আনন্দে মেতে উঠবেন। বস্তুত, অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছিলেন সঙ্গীতভবনের পড়ুয়ারা এবং অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। কিন্তু বসন্তোৎসব নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রেখেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট সকলকেই কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এ বিষয়ে কারও কাছে কোনওভাবেই মুখ খোলা যাবে না।


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: ই-রিক্সায় তল্লাশি চালাতেই Police-এর চোখ ছানাবড়া, বেরিয়ে এল তাড়া তাড়া নোট


জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে বৈঠকে বসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই বৈঠকের পর আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বসন্তোৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর তাতেই রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়েছেন পড়য়াদের। কেন?  তাঁদের বক্তব্য, প্রস্তুতির জন্য হাতে একদমই সময় নেই। তার উপর তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তের ফলে বসন্তোৎসবে অংশ নেওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন অভিভাবকরা। এমনকী, ব্রাত্য থাকলেন প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, প্রবীণ আশ্রমিক  ও স্থানীয় বাসিন্দারা। সেকারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: PM আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ, পুলিস-BDO-কে আটকে অফিসে তালা BJP-র


প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে ধরে বসন্তোৎসবের সময়ে শান্তিনিকেতনে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে। এই ভিড় এড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট দিনে বসন্তোৎস আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই উৎসবে যাঁরা প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেবেন, সেই পড়ুয়া ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের কেন অন্ধকারে রাখা হল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ মুখ খুলতে চাননি।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অধ্যাপক জানিয়েছেন, করোনা আবহে এবার শান্তিনিকেতনে গৌড় প্রাঙ্গনে অত্যন্ত ঘরোয়াভাবেই অনুষ্ঠিত হবে বসন্তোৎসব। চিরাচরিত রীতি মেনে দিনে যেমন অনুষ্ঠান তেমনি হবে। আবার রাতে অনুষ্ঠিত হবে চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্য।