পণ নিয়ে বিয়ে, তারপর স্ত্রী-সন্তানদের উপর অকথ্য অত্যাচার বিডিও স্বামীর
অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই মেলেনি ২ সন্তানেরও।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথমে পণ নিয়ে বিয়ে। তারপর স্ত্রী-র উপর অকথ্য অত্যচার। বধূ নির্যাতনের অভিযোগে কাঠগড়ায় এবার খোদ এক ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার। ঘটনাটি পুরুলিয়ার এক নম্বর ব্লকের।
পাত্র পদস্থ সরকারি চাকুরে। এমন সম্বন্ধ পেয়ে খুবই খুশি হয়েছিল লুসির পরিবার। ২০১০ সালে পুরুলিয়ার এক নম্বর ব্লকের বিডিও দিব্যজ্যোতি দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় লুসির। অভিযোগ, বিয়ের সময় মোটা টাকা পণ নেন দিব্যজ্যোতি। সুপাত্র যাতে হাতছাড়া না হয়ে যায়, তাই পণ দিয়েই দিব্যজ্যোতির সঙ্গে লুসির বিয়ে দেয় তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন, এক যুবতির প্রেমে 'পাগল' ২ যুবক! এক প্রেমিক গুলি করল অপর প্রেমিককে
কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় লাগাতার অত্যাচার। গত ৮ বছর ধরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিত্য লুসির উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এরমধ্যে দম্পতির ২ সন্তান হয়। অভিযোগ, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পায়নি সন্তানরাও।
এমনকি দিন কয়েক আগে বেধড়ক মারধর করে স্ত্রী ও সন্তানকে দিব্যজ্যোতি বাড়ি থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ। এরপর শুক্রবার সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ফেরেন লুসি। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখেন দরজায় তালা। বাধ্য হয়ে সন্তানদের নিয়ে একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন লুসি।
আরও পড়ুন, রক্তাক্ত শৈশব! ক্যানিংয়ে আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ প্রতিবেশী কিশোরের
অভিযোগ, শনিবার ফের সেখানেই স্ত্রী লুসির উপর চড়াও হন স্বামী দিব্যজ্যোতি। বেধড়ক মারধর করেন স্ত্রীকে। কিন্তু থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, পুলিস ফিরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন লুসি দাস। সমস্যার সমাধান চেয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।