ওয়েব ডেস্ক: নিম্নচাপ সরল ঝাড়খণ্ডে। আবহাওয়াও আগের চেয়ে ভাল। কিন্তু বাংলার রক্তচাপ তাতে কমছে না। ঝাড়খণ্ড থেকে নেমে আসা জল রাজ্যের সব হিসেব গুলিয়ে দিচ্ছে। বৃষ্টি নিয়ে যত না চিন্তা, তার চেয়ে অনেক বেশি দুশ্চিন্তা এখন DVC-কে নিয়ে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃষ্টি থামলেও বিপদ পিছু ছাড়ছে না। ব্যারেজ থেকে নাগাড়ে ছেড়ে যাওয়া এই জলেই পুজোর মুখে বন্যার অশনি সংকেত দেখছে রাজ্য সরকার। মাইথন এখনও খাতাই খোলেনি। এখনও পর্যন্ত শুধু পাঞ্চেত থেকেই জল ছাড়া হচ্ছে। তাতেই ভেবে কুল পাওয়া যাচ্ছে না। নিম্নচাপ যদি ঝাড়খণ্ডকে ভাসায়, তাহলে আরও বেশি করে জল নীচে নেমে আসবে। প্রতিবেশী রাজ্যের কোনার ও তেনুঘাট জলাধার থেকে দুর্বার স্রোত আছড়ে পড়বে মাইথন আর পাঞ্চেতে। তার চাপ আসবে দুর্গাপুর ব্যারেজে। 


পাঞ্চেত ড্যামের বিপদ সীমা - ৪২৫ ফুট
বন্যার স্তর - ৪১০ ফুট
এখনই জল রয়েছে ৪৩০ ফুট


ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট যদি এভাবে জল ছাড়তেই থাকে, তাহলে তার চাপ পাঞ্চেতেই আসবে।  পাঞ্চেত এখনই বিপদসীমার ওপরে। তেনুঘাট থেকে আরও জল এলে, পাঞ্চেতকে কয়েক লাখ কিউসেক জল ছাড়তে হবে। তখন আরও জটিল হবে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি। 


জলের চাপে ব্যারেজ ভাঙলে ভাসবে গোটা বাংলা। জল না ছাড়লে নিশিহ্ন হয়ে যাবে পাঞ্চেতের পিছনের যাবতীয় গ্রাম। পাঞ্চেতের মতো অতটা বিপজ্জনক না হলেও, মাইথনও ভাল জায়গায় নেই। 


মাইথন ব্যারেজের বিপদ সীমা-৪৯৫ ফুট 
বন্যা স্তর-৪৮০ ফুট 


অর্থাৎ বেশি বৃষ্টি হলে মাইথনকেও পাঞ্চেতের রাস্তায় হাঁটতে হবে। একই কারণে বুক দুরুদুরু বীরভূমের। ঝাড়খণ্ডের ছোটনাগপুর মালভূমি এলাকায় যত ছোট বড় নদী আছে, সবগুলিই এখন জলে টইটম্বুর। দুমকার ম্যাসাঞ্জোর ড্যামে জমা হয় সেই জল। ম্যাসাঞ্জোর জল ছাড়লে আরও ভয়ঙ্কর চেহারা নেবে ময়ূরাক্ষী । তার চাপ পড়বে সিউড়ির তিলপাড়া ব্যারেজে। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হবে।