ওয়েব ডেস্ক : একদিকে বিমল গুরুং সহ ৮ আট মোর্চা নেতার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা। আর অন্যদিকে, পথে নেমে বনধ তুলতে সক্রিয় গৌতম দেব। ত্রিমুখী কৌশলে পাহাড় স্বাভাবিক করতে মরিয়া প্রশাসন। সাড়াও মিলছে। পানিঘাটা-মিরিকের পর আজ গাড়িধুরায় উঠে গেল বনধ। আশ্বাস পেয়ে দোকান খুললেন ব্যবসায়ীরা।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সমতলের শেষ, পাহাড়ের শুরু। এটাই গাড়িধুরা। সমতল লাগোয়া হলেও, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার শক্ত ঘাঁটি। তিন মাস ধরে অচল। ঘড়িতে সাড়ে নটা। গাড়িধুরা পৌছলেন গৌতম দেব। রাজেন মুখিয়ার মতো পাহাড়ের তৃণমূল নেতাদের পাশে নিয়ে পা মেলালেন শান্তি মিছিলে। শিগগিরি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে পাহাড়। কনফিডেন্ট পর্যটন মন্ত্রী।


নেতা মন্ত্রীদের আশ্বাস পেয়ে ধীরে ধীরে খুলে যায় দোকানপাট। বনধে বিপর্যস্ত চাবাগান। চা শ্রমিকদের মধ্যেও ত্রাণ বিলি করলেন গৌতম দেব।  বেশকয়েকজন চা শ্রমিক এদিন তৃণমূলে যোগ দেন। পাহাড়কে স্বাভাবিক করতে একটু একটু করে এগোচ্ছেন গৌতম ব্রিগেড। পাহাড় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুরুং কোম্পানিকে  কোণঠাসা করতে ত্রিমুখী কৌশল নিচ্ছে প্রশাসন।


কৌশল ১: গুরুংকে কোনঠাসা
দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে গুরুং। প্রশাসন চায় সেই ফাঁক কাজে লাগিয়ে চাপ আরও বাড়াতে। ভানু ভবনে তাণ্ডবের ঘটনায় বিমল গুরুং, আশা গুরুং, রোশন গিরি, প্রকাশ গুরুং সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা। গুরুং সহ UAPA-তে অভিযুক্তদের ধরতে  চূড়ান্ত তত্পরতা পুলিস প্রশাসনের। সিকিম থেকে কীভাবে গ্রেফতারি সম্ভব? মাস্টারপ্ল্যান বানাতে আজ দার্জিলিংয়ে জরুরি বৈঠক করেন ADG আইনশঙ্খলা অনুজ শর্মা।


কৌশল ২: শক্ত ঘাঁটিতে সক্রিয় তৃণমূল
পানিঘাটা-মিরিকের মতো শক্তঘাঁটিতে বনধ তুললে পথে নামছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা


কৌশল ৩: পাহাড়ে সক্রিয় তামাং
আর বিমল গুরুংয়ের ঘাঁটি দার্জিলিঙে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পথে নামছেন বিনয় তামাং-অনীত থাপারা। কাল কার্শিয়ঙে শক্তিপরীক্ষার পর আজ টার্গেট দার্জিলিং। চকবাজারে অরাজনৈতিক মোমবাতি মিছিল বিনয়ের।  ১২ তারিখ সর্বদলের আগে করবেন জনসভাও।


আরও পড়ুন, রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল, কৃষি হারালেন পূর্ণেন্দু