ওয়েব ডেস্ক: কোয়ালিটি এডুকেশনের আশায় সন্তানকে প্রাইভেট স্কুলে পড়াচ্ছেন। খোঁজ নিয়েছেন কি, সেই স্কুলে কতজন শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রশিক্ষণ রয়েছে? কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের দাবি,  আনট্রেনড টিচারের সংখ্যায় দেশের মধ্যে দু-নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ। আর, এই টিচারদের মধ্যে অধিকাংশই রয়েছেন বেসরকারি স্কুলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আনট্রেনড টিচারের সংখ্যায় বিহারের পরই দু-নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ। এমনই দাবি কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের।


ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়ান, এমন সব স্কুল টিচারদের ২০১৯-এর মধ্যে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টরি এডুকেশনের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র। টিচারদের হাতে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টরি এডুকেশনের সার্টিফিকেট তুলে দিতে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং, ডিসট্যান্স কোর্স চালু করেছে। সারা দেশে ইতিমধ্যেই পরীক্ষার ফি জমা দিয়েছেন ১২ লক্ষ ৭০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা।


এনআইওএস-এর তথ্য বলছে, এঁদের মধ্যে ৯ লাখ ২৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাই বেসরকারি স্কুলে পড়ান। পশ্চিমবঙ্গ থেকে জমা পড়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার আবেদন।


এই তথ্যের ভিত্তিতেই আনট্রেনড টিচারের সংখ্যায় সারা দেশে এ রাজ্য দ্বিতীয় বলে দাবি কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর। বেসরকারি স্কুলেই আনট্রেনড টিচারের সংখ্যা বেশি। গোটা দেশের এই যে সার্বিক চিত্র,পশ্চিমবঙ্গ তার বাইরে নয় বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।


রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলির দাবি,অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে এ কথা বলা হচ্ছে। বেসরকারি স্কুলগুলিকে আরও আগে স্ক্যানারের নীচে আনা উচিত ছিল বলে মত, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের।


একদিকে ট্রেনড। অন্যদিকে আনট্রেনডরা। পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। এই বিতর্কের আঁচে প্রাইভেট স্কুলগুলির নিচু ক্লাসের শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। শুধু এ রাজ্য নয়।গোটা দেশেই এক ছবি। এই প্রথম, বেসরকারি স্কুলের টিচারদের জন্যও ডিসট্যান্স মোডে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র।


বলা হয়েছে, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওপেন স্কুলিংয়ে ডিসট্যান্স মোডে এলিমেন্টরি এডুকেশনে ডিপ্লোমা করা যাবে। স্কুলে চাকরি করতে হলে ২০১৯-এর মার্চের মধ্যে ৫০% নম্বর পেয়ে ৪টি সেমিস্টারে পাশ করতেই হবে।


কেন্দ্রের নির্দেশের পর এ রাজ্যের বেসরকারি স্কুল টিচাররা এনআইওএস এর ডিসট্যান্স কোর্সে নাম লেখাতে শুরু করেছেন। আর তাতেই আনট্রেনড টিচারের সংখ্যাটা যে কত বেশী তা সামনে এসে গেছে। যদিও, এই পরিসংখ্যানে গলদ আছে বলে দাবি এ রাজ্যের প্রাইভেট স্কুলগুলির। অনেক আগেই কেন্দ্রের এই উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল।  বলছেন, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি।


চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দেওয়ায় আনট্রেনড টিচাররা চাকরির স্বার্থেই এ বার প্রশিক্ষণ নিতে এগিয়ে আসবেন বলে মনে করছে কেন্দ্র।