নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে পা রাখার চেষ্টা করছে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন(All India Majlis-e-Ittehadul Muslimeen)। এনিয়ে সরব হল রাজ্যে ইমাম সংগঠন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কয়েক দিন আগেই দলের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসির রাজ্যে এসে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির(Abbas Siddique) সঙ্গে সাক্ষাত করেন। গুঞ্জন উঠছে, রাজ্যে মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কে ভাগ বসাতে রাজ্যে আসছে  AIMIM। এর তীব্র বিরোধিতা করল, বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন(Bengal Imam Association)।


আরও পড়ুন-সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়ার আগে জেলায় জেলায় Vaccine-র ড্রাই রান


সংগঠনের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইয়াহিয়া(Md Yahiya) আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, রাজ্যের মুসলিমদের নিয়ে এরকম রাজনীতির তীব্র বিরোধিতা  করছি। আমরা জাতি বনাম জাতের লড়াইয়ের মুখোমুখি। ধর্মের জিগির তুলে এমন রাজনীতি একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।


বিহার বিধানসভা নির্বাচন ৫ আসন পাওয়ার পর দলের(AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি(Asauddin Owaisi)বাংলাতেও ভোটে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেন। প্রথমদিকে বিভিন্ন জেলায় সেরকম একটা চেষ্টার পর এবার ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিকে ধরে আসরে নামার চেষ্টা করছে মিম।


আরও পড়ুন-সংসদে আরও বেশি উপস্থিতি জরুরি মোদীর, নিজের বইতে প্রণব


এনিয়ে মহম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, মিম এর মতো সাম্প্রাদায়িক ভাবনা নিয়ে যারা কাজ করে তাদের বিরোধিতা করছে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়শন। প্রয়োজনে আমরা নতুন দল গড়ব। রাস্তা নেমে এরকম রাজনীতির বিরোধিতা করব। বাঙালি মুসলিমদের বাইরে থেকে আসা কোনও মুসলিম নেতার কোনও প্রয়োজন নেই। বিজেপি যখনই কোনও রাজ্যে জেতার জন্য ঝাঁপায় তখনই তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন ওয়েসি। হায়দরাবাদে মসজিদ ভাঙা হলে ওয়েসি কিছু বলেন না। যত বড় পীরই আসুন না কেন আমরা বাংলায় মুসলিম ভোট ভাগ হতে দেব না।


অন্যদিকে, অনুষ্ঠানে মুফতি মেহেদি হাসান বলেন, পশ্চিমবঙ্গ কথাটাই ভালো করে বলতে পারেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গুজরাট থেকে এসে এখানে ভাগাভাগি করা যাবে না।  কোনও পীরজাদা আমাদের নেতা নন। হায়দরাবাদ থেকে এসে এখানে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না।