মৃত্যুর কারণ `নিউমোনিয়া`, তবু করোনা সন্দেহে দেহ দাহ করতে বাধা, চূড়ান্ত হেনস্থা
শেষে পরিবারের লোকেরা নিজেরা-ই দেহ সৎকার করেন। শ্মশান কতৃপক্ষ দেহ ছোঁয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার রিপোর্ট দেখাতে হবে। নাহলে শ্মশানে দেহ সৎকার করতে দেওয়া হবে না। এমনই হেনস্থার মুখে পড়লেন এক পরিবার। ডেথ সার্টিফিকেটে নিউমোনিয়া লেখা থাকা সত্ত্বেও দেহ সৎকারে বাধা দিয়ে মৃতের পরিবারকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল শ্মশান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে।
বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার ধোসা হোগোল ডহরি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন উত্তম নস্কর। বছর সাঁইত্রিশের উত্তম নস্কর কয়েকদিন ধরেই জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছিলেন। রবিবার ২৬ তারিখ ভোরে তাঁকে বারুইপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকেরা। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ হাসাপাতালেই মৃত্যু হয় উত্তম নস্করের। বারুইপুর হাসপাতালের চিকিৎসকরা ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে 'নিউমোনিয়া' লেখেন।
অভিযোগ, এরপর বুধবার সকালে দেহ নিয়ে কীর্তনখোলা শ্মশানে দাহ করতে এলে বাধার সম্মুখে পড়তে হয়। করোনা সন্দেহে দেহ দাহ করতে অস্বীকার করে কীর্তনখোলা শ্মশান কর্তৃপক্ষ। ডেথ সার্টিফিকেটে নিউমোনিয়া লেখা থাকলেও বারুইপুর পুরসভা পরিচালিত কীর্তনখোলা মহাশ্মশান কর্তৃপক্ষ দেহ দাহ করতে অস্বীকার করে। মৃতের পরিবারকে করোনার রিপোর্ট দেখাতে বলা হয়। সেই রিপোর্ট দেখাতে না পারায় দেহ সৎকার করতে বাধা দেওয়া হয়।
যার জেরে সমস্যায় পড়ে মৃতের পরিবার। এই পরিস্থিতিতে পুরসভার দ্বারস্থ হয় পরিবার। শেষে পরিবারের লোক নিজেরা-ই দেহ দাহ করবেন, এই শর্তে দেহ দাহ করার অনুমতি দেয় পুরসভা। তারপর পরিবারের লোকেরা নিজেরা-ই দেহ সৎকার করেন। শ্মশান কতৃপক্ষ দেহ ছোঁয়নি।
আরও পড়ুন, কঙ্কালের সঙ্গে 'সহ-বাস'! বাড়ির ভিতর উদ্ধার একাধিক খুলি, হাড়গোড়, শিলিগুড়িতে হাড়হিম করা ঘটনা