নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডস (বিজিবি)-র গুলিতে বিএসফ জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় এফআইআর দায়ের করল পুলিস। বৃহস্পতিবার ৩ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে উদ্ধারে গিয়ে বিজিবি-র ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় এক বিএসএফ জওয়ানের। আহত হন আরও এক হেড কনস্টেবল। সেই ঘটনাতেই এফআইআর দায়ের করল পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজিবি-র গুলি চালনার ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে বিএসএফ-এর ইস্টার্ন কম্যান্ডের এডিজি সঞ্জীব কুমার সিং বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক দুই দেশের বাহিনীও মর্যাদা দেয়। সেখানে এধরনের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। বিনা প্ররোচনায় ভারতীয় জওয়ানদের উপর গুলি চালিয়েছে বিজিবি। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। বিজিবি-র তরফে এধরনের ব্যবহার 'শকিং'।


উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ২ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ছাড়লেও, জলঙ্গির সাহেবনগরের বাসিন্দা প্রণব মণ্ডলকে এখনও আটকে রেখেছে বিজিবি। সঞ্জীব কুমার সিং জানিয়েছেন, তাঁকে দেশে ফেরানোর সবরকমভাবে চেষ্টা করছে বিএসএফ। বৃহস্পতিবার বিকাশ, অচিন্ত্য ও প্রণব নামে জলঙ্গির তিন মৎস্যজীবী চর পাইকমারিতে মাছ ধরতে যায়। এক নৌকায় ছিল ওরা তিনজন। পদ্মায় মাছ ধরার সময় মাঝ নদী থেকে তাঁদের ধরে নিয়ে চলে যায় বিজিবি।



সঙ্গে সঙ্গেই মৎস্যজীবীদের উদ্ধারে যায় বিএসএফ। অভিযোগ, বিকাশ ও অচিন্ত্যকে বিএসএফ-এর হাতে ছেড়ে দিলেও প্রণব মণ্ডলকে আটকে রাখে বিজিবি। তারপর দুই মৎস্যজীবীকে নিয়ে বিএসএফ জওয়ানরা ফিরতেই পিছন থেকে তাঁদের নৌকা লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিজিবি। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিজয় ভান নামে এক বিএসএফ জওয়ানের। মাথায় গুলি লাগে বিজয়ের। আহত হন রাজবীর সিং নামে এক বিএসএফ-এর হেড কনস্টেবল।