নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকপঞ্জী, নাগরিকত্ব আইন-সহ একাধিক ইস্যুতে বাম ও বিরোধীদের ডাকা ভারত বনধে দফায় দফায় অবরোধ-বিক্ষোভে নাজেহাল গোটা রাজ্যে। রেললাইনে বসে, ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে বহু জায়াগায় থামিয়ে দেওয়া হয় ট্রেন। শহর কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-তৃণমূলের উচ্ছিষ্টদের নিয়ে রাজ্যে তৈরি হয়েছে ABVP, কটাক্ষ এসএফআই-র সৃজনের 


# সাতসকালেই বেলঘরিয়ায় রেললাইনে দাঁডিয়ে পড়েন বনধ সমর্থকরা।  অবরোধ করা হয় ইছাপুর, শ্যামনগর, হৃদয়পুর, কাঁচড়াপাড়াতেও।  চুঁচুড়ায় লাইনে কলাকপাতা ফেলে ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়।


# সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বনধ সমর্থকরা অবরোধ করেন যাদবপুর স্টেশন। আগরপাড়া ও মধ্যগ্রামে অবরোধের কারণে শিয়ালদহ থেকে সাতটা দশ পর্যন্ত ট্রেন ছাড়েনি। এদিন সকালে হৃদয়পুর স্টেশনে রেলের ট্র্যাকের ওপরে একটি সন্দেহজনক বস্তু দেখতে পান চালক। তা দেখে ট্রেন থামিয়ে দেন তিনি। পরে দেখা যায় লাইনে পড়ে রয়েছে ৩টি তাজা বোমা। দুটি  বোমা সরিয়ে নেওয়া হলেও তৃতীয়টিকে সরানো যায়নি।



# পূর্ব রেলও দক্ষিণপূর্ব রেলে দফায় দফায় অবরোধের জেরে সকাল সাতটা দশ নাগাদ একেবারেই ফাঁকা হাওড়া স্টেশন।  বর্ধমান কর্ড ও অন্যান্য জায়াগায় অবরোধের জেরে হাওড়ায়  কোনও ট্রেন ঢুকতে পারেনি। চুঁচুড়া ও হুগলি স্টেশনের মধ্যে বনধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি লেগে যায়। লাইনে কলাপাতা ফেলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন-JNU-র পড়ুয়াদের পাশে দীপিকা, ঐশী-কানহাইয়া সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে 'ক্রান্তি'


# অন্যদিকে, সকাল আটটায় শিয়ালদহ স্টেশনে এদিন হাজির হন ট্যক্সি, অটো, ওলা, উবের চালকরা। তাঁদের দাবি শিয়ালদহে ট্রেন বা বাস চলাচল যদি না করে তাহলে আমরা পরিষেবা দেব।  তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে হাজির হন তাঁরা। দমদম মেট্রো স্টেশনে ঢুকে অবরোধ করার চেষ্টা করেন বনধ সমর্থকরা।




# অন্যদিকে, সকালে কলকাতার চিংড়িঘাটা, ভিআইপি বাজারে অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। তাদের সরিয়ে দেয় পুলিস।  হাওড়া দক্ষিণপূর্ব রেলের চেঙ্গাইল ও ভোগপুর স্টেশন অবরোধ হয়।  সাড়ে আটটা নাগাদ তাদের তুলে দেয় পুলিস। খড়গপুর-টাটানগর শাখার সরডিহা স্টেশন অবেরাধ করেন বনধ সমর্থকরা। আটকে যায় স্টিল এক্সপ্রেস।  অবরোধ করা হয় তমলুক স্টেশনও। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের তুলে দেওয়া হয়।


# রেল অবরোধ করা হয় হিজলি স্টেশনে। ব্যান্ডেলে বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন চলাচল। চন্দননগর, পান্ডুয়ায় অবরোধ করা হয়।


# বারাসতে জোর করে দোকান বন্ধ করার চেষ্টা হয়। তমলুকে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। 


# সকাল নটা নাগাদও শিয়ালদহ থেকে ট্রেন চলাচল শুরু করা যায়নি। 


# বৈদ্যবাটিতে বাসের চাবি কেড়ে নিয়ে চালককে নামিয়ে দেওয়া হয়।


# কলকাতায় সরকারি বাস চললেও বেসরকারি বাসের সংখ্যা বেশ কম। যাত্রী সংখ্যাও বেশ কম। নিউ টাউনের বালিগড়ি সিরিজ বাগান ১৬ নম্বর জলের ট্যাংকের সামনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন সিপিআইএম সমর্থক এসে  রাস্তা অবরোধ করে। প্রায় ২০ মিনিট অবরোধ করে রাখার পর টেকনো সিটি থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে এবং অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে হটিয়ে দেয়।


# বর্ধমানের পার্কাসরোডের মোড়ে ধর্মঘটীদের রাস্তা অবরোধ। অবরোধের জেরে আটকে পড়ে যানবাহন। আসানসোলে বড় বাস সেরকমভাবে চলেনি। গুটি কয়েক মিনিবাস চলতে দেখা গেছে। চলছে অটো টোটো ও পিকআপ ভ্যান। বন্ধ সমর্থক রা রাস্তায় নেমেছে। 


# কোচবিহারে চলছে বনধ | বন্ধ দোকানপাট | স্বল্প যাত্রী নিয়ে সরকারি বাস কিছু চললেও বেসরকারি বাস বন্ধ |  নিরাপত্তার  খাতিরে মাথায় হেলমেট পরে বাস চালাচ্ছেন সরকারি বাস চালকরা | অশান্তি এড়াতে বিভিন্ন রাস্তায় মোতায়েন পুলিশ বাহিনী |


# কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির ডাকা ভারত বন্ধের প্রভাব পড়লো  কোচবিহারে |  স্বল্প যাত্রী নিয়ে কিছু সরকারি বাস রাস্তায় চলছে | নিরাপত্তার খাতিরে মাথায় হেলমেট পরে বাস চালাচ্ছেন সরকারি বাস চালকরা | বেসরকারি বাস বন্ধ রয়েছে |  বন্ধ বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন দোকান পাট | যেকোনো  রকম অশান্তি এড়াতে  বিভিন্ন রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী  |


# ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়েনি মেদিনীপুরে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। প্রচুর সরকারি বাস নামানো হয়েছে। তবে বেসরকারি বাস তেমন ভাবে চোখে পড়ছে না। মেদিনীপুর বাস স্ট্যান্ডের সামনে ধর্মঘট সমর্থন কারীরা সরকারি বাস আটকানোর চেষ্টা করে।কিন্তু পুলিশ ধর্মঘটকারীদের সরিয়ে দেয়।


# ধর্মঘটের জেরে সকাল থেকে বাঁকুড়ায় বন্ধ বেসরকারি বাস চলাচল।  সরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক ভাবে।  ছোট গাড়ি ও ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক। তবে যাত্রী সংখ্যা হাতেগোনা।  সকালের দিকে খোলা দোকান খুলেছে স্বাভাবিক ভাবেই।


# পাঁশকুড়ার রাতুলিয়া বাজারে টায়ার জ্বালিয়ে সিপিএমের অবরোধ চলছে।জাতীয় সড়কের ওপর।অপরদিকে মেছাদাতে মিছিল চলছে ।তমলুকে 41 নং জাতীয় সড়কের ওপর SUCI এর অবরোধ চলছে।কাঁথি খড়্গপুর বাইপাস ও এগরাতে মিছিল করে পথ অবরোধ চালাচ্ছে সিপিএম,SUCI পৃথক ভাবে।


# বীরভূমের রামপুরহাটে রেল অবরোধ  বনধ সমর্থন কারীদের।।  সকালেই বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তারা।।।  পরে রেল পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়।।। তবে অবরোধের কারনে প্রায় ২০ মিনিট দেড়িয়ে ছাড়ে বিশ্বভারতী ফ্যাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন।


# সকাল থেকে বন্ধের ভালোই প্রভাব পরেছে মালবাজার। মহকুমায়। সকাল থেকে বন্ধকারিরা রাস্তার বিভিন্ন প্রান্তে সামিল হয়েছেন। যার ফলে দোকান পাঠ এখনো পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। সরকারি বাস চললেও বেসরকারি বাস নেই রাস্তায়। তবে ট্রাক এবং ছোট গাড়ি কিছু চলছে। সকালের বেসরকারি স্কুল গুলো বন্ধ রয়েছে। সকালের দিকে ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। রাস্তায় লোকজনের সংখ্যাও কম। বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে পুলিশি ব্যাবস্থা। সকালের দিকে কিছুগাড়ি কে বন্ধ সমর্থকেরা আটকানোর চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায়, সেই সব গাড়িকে ছেরে দেওয়া হয়।