নিজস্ব প্রতিবেদন : লক্ষ্য ২০২১। বুথ স্তর থেকে রাজ্য নেতৃত্ব, সব স্তরে সঙ্ঘবদ্ধভাবে লড়াই  প্রয়োজন। বিজেপির রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশনে এই সুরই বেধে দিলেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হল ভারতী ঘোষ, মাফুজা খাতুনকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বহরে বাড়ছে রাজ্য বিজেপি। গত কয়েক বছরে প্রায় সব নির্বাচনেই ২ নম্বরে উঠে এসেছে পদ্মফুল শিবির। এবার লক্ষ্য ১ নম্বর হওয়া। এবার পাখির চোখ ২০২১। সেই লক্ষ্যে এখন থেকেই ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্য বিজপি। বুথ স্তর থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব, নতুন নেতাদের তুলে এনে সংগঠনের শক্তিবৃদ্ধির কৌশল নিচ্ছেন দিলীপ ঘোষরা।


আরও পড়ুন, 'ডাকা হয়নি বৈশাখীকে, তবে শোভনদা কেন আসেননি জিজ্ঞাসা করব', স্পষ্ট কথা দিলীপ ঘোষের


ভারতী ঘোষ লোকসভায় জিততে না পারলেও তাঁর লড়াইকে সম্মান জানাচ্ছে দল। ভারতীর আক্রমণাত্মক মেজাজকে কাজে লাগাতেই তাঁকে সহ সভাপতি করা হল বলে মনে করা হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। সঙ্গে সংখ্যালঘু মুখ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে মাফুজা খাতুনকেও। তাঁকে সহ সভাপতির দায়িত্বে আনা হয়েছে। প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক মাফুজা খাতুনকে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিল বিজেপি।


আরও পড়ুন, খুনের হুমকির পর মারের বদলা মার! ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ, FIR দায়ের পুলিসের


সংগঠনের দায়িত্বে নতুন মুখ আনার পাশাপাশি, দলীয় কোন্দলের রাশ ধরতেও মরিয়া বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। আজকের বৈঠকে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া হয় সাবধানবাণীও। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে দিলীপ ঘোষ বলেন, “দলের নির্বাচন শুরু হবে। এমন কিছু করবেন না, যা দলের সন্মান নষ্ট করে।” বিষয়টি স্পষ্ট করতে ব্যাখ্যা করে বলেন, “দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনারা কেউ মারামারি করবেন না। তা সহমতের ভিত্তিতেই হবে। দল একটি পরিবারের মতো। একটি পরিবারের প্রত্যেক সদস্য যেমন একজনের কথা মেনে চলে, এক্ষেত্রে আপনাদেরও তাই করতে হবে। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”