কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি, তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কেডি সিং-কে গ্রেফতার করল ED
কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি, তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কেডি সিং-কে আটক করল ED
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, অ্যালকেমিস্ট চিট ফান্ড মামলায় প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিংহকে গ্রেফতার করল ইডি। মঙ্গলবার দিল্লি থেকে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কে ডি সিং-কে গ্রেফতার করল ED। ইডি সূত্রে খবর, দুশো ষোলো কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে আজ, মঙ্গলবার অ্যালকেমিস্টের কর্ণধার কেডি সিং-কে তার দিল্লির ফার্ম হাউস থেকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আজকেই তাঁকে আদালতে তোলার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বাঁশ-রড দিয়ে বেধড়ক মার BJP কর্মীদের, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
সাইপ্রাস-সহ কয়েকটি দেশে টাকা পাচারের অভিযোগ। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়ে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। একাধিক শো-রুম, রিসর্ট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। রাজ্য ছাড়াও বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা থেকে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। সব অভিযোগ একত্রিত করে তদন্ত শুরু হয়। ২০১৮ সালে দিল্লির থানায় ইডি অভিযোগ দায়ের করেছিল। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হন ব্যবসায়ী কে ডি সিং। ২০২০ সাল পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন তিনি। তবে ২০১৬ সালে নারদা কাণ্ড সামনে আসার পর দলের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক ছিল না তাঁর।
আরও পড়ুন: কয়লাপাচার কাণ্ডে আরও তৎপর CBI, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, আসানসোল-সহ ১০ জায়গায় তল্লাসি
আজ সকাল থেকেই তদন্তকারীরে তাঁর বাড়িতে ছিলেন, চলছিল জিজ্ঞাসাবাদ। এরপর তাঁকে প্রথমে আটক করা হয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করে ইডি-র আধিকারীকরা। এর আগে, সারদা এবং নারদ কাণ্ডের সময়ও একাধিকবার তাঁর নাম উঠে এসেছে। জেল থেকে সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠিতেই কে ডি সিং-এর নাম ছিল। সূত্রের খবর, বিগত কয়েকবছর ধরেই নজরে ছিলেন কেডি সিং। এমনকী গত কয়েকদিন ধরেই দফায় দফায় তাঁকে জেরা চলছিল। আজও তাকে জেরা করা হয়। কে ডি সিং-এর বয়ানে অসঙ্গতি মেলে এরপরই তাঁকে প্রথমে আটক করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
ভোটের মুখে কেডি সিং গ্রেফতারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। এ বিষয়ে সৌগত রায়ের মন্তব্য 'কেডি সিং তৃণমূলের সঙ্গে নেই।' 'প্রাক্তন সাংসদের সঙ্গে জড়িয়ে মুকুল। তাঁকেও গ্রেফতার করা হোক। দাবি তুললেন কুণাল।' আগেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল। মন্তব্য জয়প্রকাশের। সবটাই লোক দেখানো। অভিযোগ তুলেছে সিপিএম।