নিজস্ব প্রতিবেদন:  'গত ১২ বছর ধরে প্রতারণা করেছে BJP। এবার দেখিয়ে দেব, গোর্খারা কী করতে পারে! ১৮টি আসনে লড়াই হবে।'  পাহাড়ে ফিরে এবার TMC-এর হাত শক্ত করার ডাক দিলেন বিমল গুরুং (Bimal Gurung)।  এদিকে গুরুং যখন একথা বলছেন, তখন উল্টো সুর শোনা গেল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (Gorkha Janmukti Morcha) মুখপাত্রের গলায়। গুরুং-র বিরোধিতায় বিবৃতি বিনয় তামাং -এর (Binay Tamang)। একুশে ভোটের আগে চড়ছে রাজনীতির পারদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 'বাঙালিই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন', Zee ২৪ ঘণ্টাকে স্পষ্ট জানালেন Amit Shah


উল্লেখ্য, পাহাড়ে অশান্তির পর গা-ঢাকা দিয়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (Gorkha Janmukti Morcha) তৎকালীন সুপ্রিমো বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। 'ঘরে' ফিরলেন সাড়ে ৩ বছর পর। পাহাড়ে রবিবার বিমল গুরুং-এর সভাকে কেন্দ্র করে মোর্চা সমর্থকদের উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল তুঙ্গে। দার্জিলিং (Darjeeling) যাওয়ার পথে কার্শিয়ং-এ তাঁকে স্বাগত জানাতে ভিড় করেছিলেন বহু মানুষ। এরপর গুরুং সেখানে পৌঁছতেই উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙে তাঁদের। স্লোগান ওঠে, 'বিমল জিন্দাবাদ, ফিরে এসেছেন গুরুং।' স্রেফ কার্শিয়ং নয়, আরও ১৫টি জায়গায় ভিড় জমিয়েছিলেন মোর্চা সমর্থকরা।


এদিন দার্জিলিং মোটর স্টেশনে এক জনসভায় বিমল গুরুং (Bimal Gurung) বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দলত্যাগে কোনও প্রভাব পড়বে না। ২০২১ সালে ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee)। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নেবেন না। ৭ জানুয়ারি সভা করবেন কালিম্পং ও ডুয়ার্সে।' গুরুং-এর দাবি, 'আগামীকালই যদি নির্বাচন হয়, তাহলেও আমরা প্রস্তুত। পাহাড়ের তিনটি আসনেই জিতব।' কিন্তু সত্যিই কি মোর্চা সমর্থকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে থাকবেন? তাল কাটল খোদ দলের মুখপাত্রের বক্তব্যে। তাঁর সাফ কথা, 'গত ১০ বছরে পাহাড়ে কোনও উন্নয়ন হয়নি। গোর্খারা TMC-কে ভোট দেবে না।'


আরও পড়ুন: বাংলার ৩ পুলিস অফিসারকে তলব; রাজ্যের অধিকারে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ, ফের কেন্দ্রকে নিশানা মমতার


আর বিনয় তামাং (Binay Tamang)? গুরুং বিরোধিতায় অনড় এখনও। এদিন এক বিবৃতি তিনি জানান, 'পাহাড়ে ফিরলেও বিমল গুরুং-এর মানসিকতা বদলায়নি। আর এই ঠিক কারণে ২০১৭ সালে তাঁর সঙ্গত্য়াগ করেছিলেন। বিমল গুরুং চলে যাওয়ার পরেই পাহাড়ে গণতন্ত্র ফিরেছে। তাই বিরোধীরা, এমনকী বিমল গুরু নিজেও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারছে। কিন্তু তাঁর সময়ে সুবাস ঘিসিং-র স্ত্রীর মরদেহ পাহাড়ে আনতে দেননি তিনি। পুরো বিষয়টির উপর সরকার যেন নজর রাখে। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারে।'