নিজস্ব প্রতিবেদন : জল্পনা ছিলই। এবার বাস্তবেও একই ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরের আগেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা থেকে সাসপেন্ড করা হল বিমল গুরুং, রোশন গিরি সহ ১৪ জন নেতাকে। সোমবার মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত আগামী ৬ মাসের জন্য তাদের সাসপেন্ড করা হল। সেই সঙ্গে মোর্চার সভাপতি হলেন বিনয় তামাং। সাধারণ সম্পাদক অনীত থাপা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাঁচ মাস পর সোমবার সন্ধ্যায় ফের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ির পিনটেল ভিলেজে পাহাড় সমস্যা নিয়ে বসতে চলেছে সর্বদল বৈঠক। বৈঠক থেকে পাহাড়ে স্থায়ী সমাধানের দিশা পাওয়া যেতে পারে এমনটাই মনে করছেন অনেকে। এদিকে, চলতি পর্যটন মরসুমে যাতে পাহাড়ে ফের পর্যটন ব্যবসা জমে ওঠে ও শান্তি বজায় থাকে তার লক্ষ্যেই রাজ্যের সঙ্গে মঙ্গবারের সর্বদল বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন বিনয় তামাং ও অনীত থাপা।


আরও পড়ুন- বিমল গুরুংয়ের আসনে কি এবার বিনয় তামাং? জল্পনা তুঙ্গে


গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে চলতি বছর মে মাস থেকে নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে পাহাড়। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পংজুড়ে দফায় দফায় পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধেছে মোর্চা সমর্থকদের। আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে ১০০ দিনের বেশি সময় ধরে পাহাড়ে বনধ ডেকে কার্যত জনদীবন অচল করে দেন প্রাক্তন মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং। মূলত পর্যটন নির্ভর পাহাড় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ায়, তার প্রভাব পড়ে সেখানকার অর্থনীতিতে। 'পাহাড়বাসীর স্বার্থে' এরপর মোর্চার অন্দরেই বিভাজন দেখা দেয়। বিনয় তামাং, অনীত থাপাকে সামনে রেখে মোর্চার একাংশ বিমল গুরুংয়ের একরোখা মনোভাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিনয়পন্থীরা যখন পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী, তখন আড়াল থেকে বার বার যুদ্ধ ঘোষণা করে গেছেন বিমল, এমনটাই অভিযোগ। পাহাড়ের একাধিক জায়গায় জঙ্গি কার্যকলাপেরও অভিযোগ উঠেছে বিমলপন্থীদের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় পাহাড়ের হাল ধরেন খোদ বিনয়ই। জনসমর্থনও কুড়োতে শুরু করেছেন তিনি। অবশেষে সোমবার ডাকা হয় মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। সেখানেই ঠিক করা হয়, পাহাড়ের নেতা এখন বিনয় তামাং। ৬ মাসের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিমল গুরুংকে।