নিজস্ব প্রতিবেদন: পাহাড়ে জেগে উঠছে 'সুপ্ত আগ্নেয়গিরি'! দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে হারের দিনই বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী উস্কে দিয়েছিলেন, 'গোর্খাল্য়ান্ড'। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সেই টুইটের ধন্যবাদ জানালেন জিটিএ প্রধান তৃণমূল ঘনিষ্ট বিনয় তামাং। স্বামীর টুইটের আগে ৮ ফেব্রুয়ারিই বেসুরো গেয়েছিলেন বিনয়। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বিজেপির উপরে চাপ বাড়ানোর কৌশল নাকি পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড আবেগে শান দিয়ে প্রাসঙ্গিক থাকতে চাইছেন তামাং?          


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১১ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে পর্যুদস্ত হয় বিজেপি। দলের নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী টুইট করেন,''অনেক রাজ্যে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখতে পারিনি। গোর্খাল্যান্ডকে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হোক।'' 



তার আগেই ৮ ফেব্রুয়ারি নাগরাকাটার সিপচুতে বিনয় তামাং বলেছিলেন,''২০০৯ সাল থেকে পাহাড়ে তিন দফায় জিতেছে বিজেপি। গোর্খাল্যান্ড পাওয়ার আশাতেই তাদের জিতিয়েছেন মানুষ। পৃথক রাজ্য করা হোক অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। কেন্দ্রের সেই অধিকার রয়েছে।'' সেই সুরই আরও একবার শোনা গেল বিনয় তামাংয়ের চিঠিতে। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে ধন্য়বাদ জানান তামাং। তিনি লিখেছেন, ''আজ পর্যন্ত কোনও বিজেপি নেতা প্রকাশ্য়ে গোর্খাল্য়ান্ডকে সমর্থন করেননি। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে ধন্য়বাদ জানাচ্ছি।'' দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তের  সমালোচনা করেছেন তামাং। প্রশ্ন তুলেছেন, কেন গোর্খাল্যান্ড নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন না বিজেপি সাংসদ? সুব্রহ্মণ্যম স্বামী টুইটে দাবি করেছিলেন, প্রার্থী হিসেবে তাঁকে বাছা হয়েছিল। তাহলে শেষ মুহূর্তে রাজু বিস্তকে কেন টিকিট দেওয়া হল? সূর্য কোম্পানি এমডি হওয়াই কি মাপকাঠি?             


গোর্খাল্যান্ডের আগাগোড়া কট্টর সমর্থক ছিলেন বিনয় তামাং। ২০১৭ সালে অগ্নিগর্ভ পাহাড়কে শান্ত করতে বিনয় তামাংকে সঙ্গে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। বিমল গুরুংরা পাহাড় ছাড়া। নেতৃত্বহীন পাহাড়ে জিটিএ প্রধান হন বিনয় তামাং। গত লোকসভা ভোটেও তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু পাহাড়ে না থেকেও বিজেপির প্রতীকে নিজের প্রার্থী রাজু বিস্তকে জিতিয়ে এনেছেন বিমল গুরুং। দীর্ঘদিনের বৈরী জেএনএলএফ-কেও পাশে নিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে পাহাড়ে থেকেও বিমল গুরুংয়ের সমকক্ষ হতে পারেননি বিনয় তামাং। দেড় সপ্তাহের মধ্যে গোর্খাল্য়ান্ড নিয়ে ধুয়ো তোলা তাঁর রাজনৈতিক কৌশল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের ব্যাখ্যা, পাহাড়ে গোর্খাল্য়ান্ড একটা আবেগ। কিন্তু তৃণমূল গোর্খাল্যান্ডের তীব্র বিরোধী। পাটিগণিতের নিয়মে খানিকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বিনয় তামাং। সে কারণেই গোর্খাল্যান্ড নিয়ে তাঁকে সুর চড়াতেই হতো।       


বিধানসভা ভোটের আগে গোর্খাল্য়ান্ড অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। ফলে বিজেপিও সাবধানে পা ফেলছে। বিনয় তামাং চিঠিতে নিশানা করেছেন রাজু বিস্তকে। অনেকেই মনে করছেন, একুশের আগে বিজেপির উপরে চাপ বাড়াতে চাইছেন তামাং। আবার পাহাড়ে নিজের মাটিও শক্ত করতে চাইছেন। এসবের মধ্য়েই আরও একবার 'গোর্খাল্যান্ড' ভেসে উঠল রাজনীতির আখড়ায়।


আরও পড়ুন- বিয়েবাড়ি ভারী মজা! অফিস উজাড় করে ভোজ খেতে গেলেন BJP-র ছোট-বড় নেতা