নিজস্ব প্রতিবেদন : কয়েক মাসের প্রেম। সেই প্রেমকে সঙ্গী করেই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করেছিল। স্বপ্ন দেখেছিল সুখের সংসার গড়ে তুলবে দু'জনে মিলে। কিন্তু, শনিবার বিকেলে বীরভূমের সিউড়ি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের মধ্যে দিয়ে মুহূর্তে মিলিয়ে গেল বছর ১৮-র কিশোরীর সেই স্বপ্ন। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে তার। ঘটনার পর থেকে পলাতক তার স্বামী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুননামে নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট, রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে নয়ছয়ের পর্দাফাঁস


জানা গেছে, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যায় ওই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরিবারের অমতে দু'জনে বিয়েও করে। কিন্তু তার পর থেকে আর কোনও খোঁজ মিলছিল না তাদের। অনেক চেষ্টা করেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি কিশোরীর পরিবার। এরপর শনিবার বিকেলে বাড়িতে খবর আসে মেয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। খবর পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যান। কিন্তু, সেখানে গিয়ে অন্য বিপাকে পড়েন তারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনওভাবেই মেয়ের মৃতদেহ তাদের হাতে তুলে দিতে রাজি নয়। কারণ মেয়ের আসল নাম ও ঠিকানার সঙ্গে মৃতের নাম-ঠিকানার মিল নেই। পরে সিউরি পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে মৃতার পরিবার সেখানে গেলে সামনে আসে আসল ঘটনা। হাসপাতালে ভর্তি করার সময় মৃতার স্বামী তার নাম ও ঠিকানা বদলে দেয়। এমনকি তাদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে বলেও হাসপাতালের রেকর্ড বইতে লেখানো হয়।


হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ওই কিশোরীকে দগ্ধ অবস্থায় দিন ১৫ আগে হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর থেকেই আর কোনও খোঁজ নেই তার স্বামীর। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমেছে। খোঁজ চলছে মৃতার স্বামীর। তার বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলাও রুজু করেছে মৃতার পরিবার।