হোটেলে রাত্রিযাপনে জোড়া লাগল `ভেঙে যাওয়া` দাম্পত্য
সম্পর্কের সুতোটা ঢিলে হয়ে গিয়েছিল। সুতোটা পুরোপুরি ছিঁড়ে যাওয়ার আগে একবার শেষ চেষ্টা করে দেখার জন্য দম্পতিকে হোটেলে রাত্রিবাসের অভিনব নিদান দিয়েছিলেন বিচারক।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্পর্কের সুতোটা ঢিলে হয়ে গিয়েছিল। সুতোটা পুরোপুরি ছিঁড়ে যাওয়ার আগে একবার শেষ চেষ্টা করে দেখার জন্য দম্পতিকে হোটেলে রাত্রিবাসের অভিনব নিদান দিয়েছিলেন বিচারক। অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেল সেই নিদান। তিনদিন হোটেলে রাত্রিবাসের পর হাত ধরাধরি করে আদালতে হাজির হলেন দম্পতি। একে অপরকে মিষ্টিমুখও করালেন।
গত ২ মার্চ সিউড়ির ভট্টাচার্য পাড়ার যুবক গৌতমের সঙ্গে বিয়ে হয় নদীয়ার তেহট্টের যুবতি অহনার। কিন্তু বিয়ের মাস ঘুরতে না ঘুরতেই শুরু হয় অশান্তি। ছেদ পড়ে দাম্পত্যে। বাড়ি ছেড়ে সস্ত্রীক ভাড়া বাডি়তে উঠে যান গৌতম। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। এরপরই জেলা আইনি সহায়তা কেন্দ্রের দ্বারস্থ হন অহনা।
৮ জানুয়ারি ছিল সেই আবেদনের শুনানি। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহের জেরে স্থগিত হয়ে যায় শুনানি। শুনানি স্থগিত করে অভিনব নিদান দেন বিচারক। তিনি বলেন, দম্পতিকে তিনদিন কোনও হোটেলে থাকতে হবে। আরও বলেন, হোটেলে থাকার সব খরচা বহন করবেন তিনি-ই। বিচারকের এমন সিদ্ধান্তে তাজ্জব হয়ে যায় সবাই।
এরপর তিনদিন হোটেলে কাটিয়ে এদিন সকালেই আদালতে দুই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আদালতে হাজির হয় স্বামী-স্ত্রী। বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে স্ত্রী অহনা জানান, এই সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী তিনি। স্বামী গৌতমও একইরকমভাবে অহনার সঙ্গে সম্পর্কে আপত্তি নেই বলে জানান।
আরও পড়ুন, ঘর থেকে টাকা লোপাট! চোর সন্দেহে গৃহবধূর গায়েই ঢালা হল গরম তেল
এরপর আদালতে দাঁড়িয়েই একে অপরকে মিষ্টি খাওয়ায় অহনা ও গৌতম। ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগায় খুশি স্বামী-স্ত্রী। যদিও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে এখনই বধূ নির্যতনের মামলা প্রত্যাহার করছেন না অহনা।