নিজস্ব প্রতিবেদন: দিলীপ ঘোষের সভার আগেই উত্তপ্ত বেলদা। তৃণমূলের অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। হরিপুর সাত নম্বর অঞ্চলে তৃণমূলের অফিসে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে শুক্রবার। ওই অফিসের পাশের মাঠেই আজ বিজেপি রাজ্য সভাপতির সভা আজ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: নোড়া দিয়ে থেঁতলে খুন, এরপর পোড়ানো হয় দেহ! সল্টলেকের খুনে তান্ত্রিক যোগ?


জানা গিয়েছে, সেখানেই সারারাত ধরে মঞ্চ বাঁধার কাজ করছিল বিজেপি কর্মীরা। তারাই বোমাবাজি করেছে অভিযোগ তুলে সকাল থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল তৃণমূল সমর্থকেরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী।


খড়্গপুরে পার্টি অফিস উদ্বোধনে এসে এ দিন সভায় কী বললেন দিলীপ


* সারা পশ্চিমবঙ্গে ভোটের হাওয়া গরম হচ্ছে। তাই দেখে আমাদের দিদিমনির মাথা গরম হচ্ছে। কী বলতে কী বলছেন জানি না। 
* জেপি নাড্ডার নামেও যা পারছে বলে দিচ্ছে। বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি। বুদ্ধি লোপ হয়ে যায়। বয়সও হয়ে গেছে লোপ পাওয়ার মতো। 
* যেই খোকাবাবুকে নেতা করার চেষ্টা করছে, দলের লোকেরাই মানছেন না, বাংলার লোক তো দূরের কথা। প্রতিদিন একজন করে তাঁর বিরুদ্ধে ফায়ারিং করছে। এই একটা ঝড় ঝড় পার্টি কতদিন টিকবে জানি না। 
* আমি শুনলাম, খড়্গপুরে দুজন বড় বড় নেতার মধ্যে গুলিগোলা নিয়ে প্রাকটিস হয়েছে। এই প্রাকটিসটা ইলেকশন পর্যন্ত বাড়বে। আগে এখানে মাফিয়া গুন্ডারা লড়ত। এখন নেতারা লড়ছে। পশ্চিমবঙ্গ ধীরে ধীরে কাশ্মীর হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে বোম, বন্দুক বানানোর ছোট ছোট ফ্যাক্টরি করেছেন। সব বন্ধ করে দেবো আমরা। 
* কাল আমাদের সভাপতি কালকে যখন কনভয়ের সঙ্গে যাচ্ছিল তখন তাঁকে ইট-পাটকেল মারা হয়েছে। গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। নেতাদের হাতে পায়ে চোট লেগেছে। কোথাও যদি সভা করতে যায় আমরা, রাস্তায় গুন্ডা দিয়ে গাড়ি আটকে ভেঙ্গে দেওয়া হল, মারা হল। 
* পুলিস দর্শকদের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে মজা দেখেছে। পুলিসের লোকেদের পুলিস বানাব আমরা। পুলিসের অশোক স্তম্ভের সম্মান দেব, পুলিসের পোশাকের সন্মান দেব।


* ছোটবেলায় খেলায় যে যখন জিততে পারবে না, তখন সে সেই খেলাটাকে গুলিয়ে দিত। মারপিট করে ঝামেলা করত। খেলতে দিত না। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হেরে যাবে জানতে পেরেছেন। তাই খেলতে দিচ্ছেন না। 


ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। গতকালও নাড্ডার সফরে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ ওঠে। কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজ্য। বদলার হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ ঘোষ। নাড্ডার কনভয়ে হামলার পর পরই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'পেটান, ততটাই পেটান, পরে যতটা হজম করতে পারবেন। লাল ডায়েরিতে সব লিখে রাখছি। সুদ সহ ফেরত দেব। বদল হবে, বদলাও হবে'।