নিজস্ব প্রতিবেদন: 'জনসম্পর্ক অভিযান'। স্রেফ দলের বিক্ষুদ্ধ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক বা পিকনিক নয়, অধিকার রক্ষায় এবার মতুয়াদের (Motua Community) একজোট হওয়ার আহ্বান জানালেন বিজেপি সাংসদ, মোদী সরকারের মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur )। বললেন, 'প্রধানমন্ত্রী ওড়াকান্দি ছুটে গেছিলেন কেন? নমঃশুদ্ররা কারা, চিনতে গিয়েছিলেন। সমাজে তখনই আপনি জায়গা পাবেন, যখন আপনি কথা বলবেন। সংঘবদ্ধতাই একমাত্র রাস্তা'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের বিধানসভা ভোটে ধাক্কা সামলানো যায়নি এখনও। কলকাতায় পুরভোটেও ধরাশায়ী বিজেপি (BJP)। পদ্মশিবিবের এখন চূডান্ত ডামাডোল! দলের রাজ্য় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বিধায়ক-সহ নেতাদের একাংশ। বাদ যাননি বনগাঁ সাংসদ, মোদী সরকারের মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও ( Shantanu Thakur)। কয়েকদিন আগেই কলকাতায় পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বৈঠকও করেছেন বিক্ষুদ্ধ নেতারা। এমনকী, বনগাঁর গোপালনগরের রঘুনাথপুরে পিকনিক করতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। 


আরও পড়ুন: Buddhadeb Bhattacharjee-র Padma Bhushan প্রত্যাখ্যান, কমিউনিস্টরা চিরদিন দেশের পরম্পরা ও সংস্কৃতিকে অপমান করেছে: Dilip Ghosh


এদিন মতুয়াধাম ঠাকুরনগরে স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করেছিলেন শান্তনু ঠাকুর। এরপর নদীয়ার চাকদহের লক্ষ্মীপুর গ্রামে মতুয়াদের ধর্মসভায়ও যোগ দেন বিজেপি সাংসদ। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের আর্থিক মেরুদণ্ড ভেঙে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে রাখা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উঠে আসতে হবে'। বার্তা দেন, 'আমি স্বদেশে থেকে বিদেশি হব কেন? ভারতের নাগরিক হয়ে আমরা রাতারাতি বেনাগরিক হয়ে গেলাম। এই অবস্থায় জন্য দায়ি কে? আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। রাজনৈতিক অধিকার অর্জন করতে হবে। আমাদের ১০০ বছরের ইতিহাসের কোথাও পড়ানো হয়? ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। গুরুচাঁদ ঠাকুর বলেছিলেন, তোমরা শিক্ষা নাও। রাজনীতি কর। জংলি পশুদেরম মত মতুয়াদের ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ভাবতে হবে দেশভাগটা কত বড় চক্রান্ত ছিল'।


আরও পড়ুন: Buddhadeb Bhattacharjee: নন্দীগ্রামের নায়ক! বুদ্ধবাবু পদ্ম সম্মান পাওয়ার মতো কিছুই করেননি: কুণাল ঘোষ


পশ্চিমবঙ্গে তখন প্রথম দফায় বিধানসভা ভোট চলছে। গত বছরের মার্চে ওপার বাংলায় গোপালগঞ্জে ওড়াকান্দির মতুয়া ধাম(Matua Dham) সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন শান্তনু ঠাকুর বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ওড়াকান্দি ছুটে গেছিলেন কেন? নমঃশুদ্ররা কারা, চিনতে গিয়েছিলেন। সমাজে তখনই আপনি জায়গা পাবেন, যখন আপনি কথা বলবেন। সংঘবদ্ধতাই একমাত্র রাস্তা'। এদিকে আবার সংসদের অধিবেশন চলাকালীন দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপি বিক্ষুদ্ধ নেতারা। কেন? সূত্রের খবর, অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন তাঁরা। এমনকী, নাড্ডাকে চিঠিও দিয়েছেন  দলের মণ্ডলস্তরের বিক্ষুদ্ধ নেতারা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)