নিজস্ব প্রতিবেদন: নয়াদিল্লিতে বসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন শনিবার তিনি পশ্চিমবঙ্গে আসবেন। কিন্তু তিনি কোথায় আসবেন, তা স্পষ্ট করেননি। কোচবিহারে বসে কার্যত সেটাই পরিষ্কার করে দিলেন দলের নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সেখানে তিনি জানান, আদালত যদি অনুমতি দেয়, তাহলে কোচবিহারে এসে রথযাত্রার সূচনা করবেন অমিত শাহ। না হলে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি আসবেন কলকাতায়। সেখানেই বিজেপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।


বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে যে জটিলতা শুরু হয়েছে, তা এখনও কাটেনি। এখনও আদালতের বিচারাধীন গোটা বিষয়টি। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা হেরেছে বিজেপি। আবেদন করেছে ডিভিসন বেঞ্চে। সেই শুনানি এখন চলছে। এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, সেই মামলার রায়ের দিকেই তাঁরা তাকিয়ে।


এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। তাঁর দাবি, ভয় পেয়ে বিজেপিকে রাজনৈতিক আন্দোলন করতে আটকাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এর জন্য বিজেপির আন্দোলন থামবে না বলেও তিনি স্পষ্ট করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ''পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র স্থাপন করতে যত বলিদান দিতে হোক, আমরা প্রস্তুত।''


তবে সবটাই যে আইন মেনে আদালতের নির্দেশে হবে, তাও স্পষ্ট করেছেন কৈলাস। জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টে হেরে গেলে বিজেপি সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করবে।


যদিও কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, বিজেপির কর্মসূচির অনুমতি দিলে রাজ্যের সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতেই রাজ্য একথা বলেছে বলে আদালতে জানায়। তার পরই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের মামলার রায় বিজেপির বিপক্ষে যায়।


কিন্তু রাজ্যের দাবি মানতে নারাজ কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর কথায়, সম্প্রীতি নষ্ট হবে রিপোর্ট বানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই রিপোর্টে গোয়েন্দারা সই করে দিয়েছে। এটা গোয়েন্দাদের রিপোর্ট নয় বলে কৈলাসের দাবি।