নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে প্রার্থীরা সর্বত্র বিচরণ করেন। ধনীর অট্টালিকা থেকে গরিবের কুঁড়ে ঘর, সব জায়গাতেই জোড় হাতে হাজির হয়ে যান তাঁরা। তাই শুক্রবার বর্ধমানের খক্কর শাহ মাজারে চাদর চাপানোর পর দুর্গাপুর যাওয়ার পথে যখন একটি গলির সামনে থামলেন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, তখন বিষয়টি প্রচারের অঙ্গ বলেই মনে হয়েছিল সকলের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কিন্তু চমক ভাঙল কিছুক্ষণ পর। আসলে ওই বাড়ি থেকে যিনি বেরিয়ে এলেন, তিনি শুধুমাত্র একজন ভোটার নন। বরং বর্ধমান-দুর্গাপুরে বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়ার কলেজ জীবনের বান্ধবী। নাম পুষ্প ঘোষ।


আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসকে মুখোমুখি ধাক্কা মারল বোলেরো, মৃত্যু ৭ যাত্রীর


পুষ্পদেবী প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে তাঁর বন্ধু আলুওয়ালিয়া আর বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলুওয়ালিয়া একই ব্যক্তি। ফলে কিছুক্ষণের নীরবতা। একে অপরের দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে চিনে নেওয়ার চেষ্টা।


সেই পর্বটা কাটতেই হেসে উঠলেন দুজনে। একে অপরকে জড়িয়েও ধরলেন। তার পর হারিয়ে গেলেন যৌবনে। নিজেরাই ফাঁস করলেন কয়েক দশক আগের কলেজ জীবনের ঘটনাক্রম।


আরও পড়ুন: গ্রামবাসীর ১০০ দিনের টাকা তছরূপের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দার্জিলিংয়ের সাংসদ আলুওয়ালিয়া আসানসোলের ভূমিপুত্র। সেখানেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তিনি আসানসোলের বিসি কলেজে পড়তেন। সেই সময়ই আসানসোল গার্লস কলেজের কলা বিভাগের ছাত্রী ছিলেন পুষ্প ঘোষ।


তাঁর অভিন্ন হৃদয় বান্ধবী ছিলেন মনিকা দেবী। মনিকা দেবীর সঙ্গে তখন মন দেওয়া-নেওয়া চলছে আলুওয়ালিয়ার। ফলে পুষ্পদেবী জানতেন সবকিছুই। দুজনের প্রেম-পর্বের অনেক ঘটনারই সাক্ষী বার্নপুরের তরুণী পুষ্প।


আরও পড়ুন: বক্তব্যের শুরুতেই 'ভুল' বললেন মুখ্যমন্ত্রী! শুধরে দিল জনতা


তারপর বরাকর থেকে বাঁকা, অনেক জল গড়িয়েছে। সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া দিল্লির রাজনীতি নিজের জায়গা পাকা করেছেন। একাধিকবার সাংসদ হয়েছেন। মন্ত্রী হয়েছেন একাধিকবার। কলেজ জীবনের প্রেম মনিকাদেবীর সঙ্গে সংসারও করছেন জমিয়ে।


অন্যদিকে পুষ্পদেবীর বিয়ে হয় বর্ধমানে। তাঁর এক ছেলে সোমনাথ ঘোষ। এদিন মায়ের সঙ্গে প্রফেসর সোমনাথও ছিলেন। মায়ের বন্ধু মন্ত্রী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার সঙ্গে তাঁরও সাক্ষাৎ হয়।


আরও পড়ুন: কমিশনের অফিসে চা খেয়ে 'নাটক' জুড়ে দিলেন মুকুল


প্রচারে রাজনীতির কথা তো সবসময় হয়। কিন্তু শুক্রবারের সাক্ষী হল সম্পূর্ণ অন্য মুহূর্তের। যেখানে প্রার্থীও ভোট চাইলেন না। আর ভোটাররা রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা বললেনই না। বরং শোনালেন আজকের মন্ত্রীর কাছ থেকে কলেজ জীবনে টফি নেওয়ার গল্প। যা শুনে চারিদিকে গমগম করে উঠল সর্দারের ব্যারিটোন হাসিতে।