Fraud: চাকরির নামে প্রতারণা? বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর নামে প্যাড! সোনারপুরে আটক বিজেপি প্রার্থী
রেহাই পেল না ছেলেও। পুরভোটে বিজেপির এজেন্ট ছিলেন তিনি।
তথাগত চক্রবর্তী: পুরভোটে একজন বিজেপি প্রার্থী ছিলেন, আর একজন এজেন্ট। চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে আটক বাবা ও ছেলে। তাঁদের বাড়িতে পাওয়া গেল সরকারি দফতরের নিয়োগপত্র-সহ প্রচুর নথি, এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর নামে প্যাডও! দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে পুরভোটে সোনারপুরের ১৪ ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তম মুখোপাধ্যায়। ওই ওয়ার্ডেরই বৈকুণ্ঠপুর এলাকায় থাকেন তিনি। ছেলে অর্ণবও বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। এ বছর পুরসভা ভোটে দলের নির্বাচনী এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। এদিন বাবা ও ছেলেকে আটক করল সোনারপুর থানার পুলিস। কেন? স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের চাকরি দেওয়ার নাম করে যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন উত্তম ও অর্ণব। কিন্তু চাকরি পাননি কেউ। অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। সেই অভিযোগে ভিত্তিতেই বাবা ও ছেলেকে আটক করল পুলিস।
প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নামে 'প্রতারণা'! কয়েক মাস আগে হাওড়ায় গ্রেফতার হন বিজেপি প্রার্থী সুমিতরঞ্জন কাঁড়ার। একুশের বিধাবসভা ভোটে উদয়নারায়ণপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে বেকার যুবক-যুবতীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন সুমিতরঞ্জন, কিন্তু চাকরি দিতে পারেননি। এমনকী, কয়েকজনকে টাকা ফেরতের চেক দিয়েছিলেন, সেই চেকও বাউন্স করেছে!
এদিকে হাওড়ারই ডোমজুড়ে বিডিও অফিসে ডেকে এনে মারধর করেছিলেন ২ মহিলা। আক্রান্তের নাম রাজেশ চট্টোপাধ্যায়। বাড়ি, ডোমজুড়েই। অভিয়োগ, নিজেকে বিডিও অফিসের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন তিনি। এমনকী, খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে মহিলাদের কাছ টাকাও নিয়েছিলেন। কেউ ৩০ হাজার, তো কেউ আবার ৩৫ হাজার। চাকরি পাওয়ার আশায় রাজেশকে টাকা দিয়েছিলেন ১০ জন, কিন্তু চাকরি পাননি কেউই!
আরও পড়ুন: Weather Report: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ? রাজ্যে ফের বৃষ্টি-দুর্যোগের ঘনঘটা
তারপর? আরও টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিডিও অফিসে ডেকে আনা রাজেশকে। রপর যখন টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন, তখন অভিযুক্তকে বেধড় মারধর করেন দুই মহিলা। এই ঘটনার ছবি ধরা পড়ে বিডিও অফিসের সিসিটিভি ক্য়ামেরায়। ওই দুই মহিলা ও অভিযুক্ত রাজেশ চট্টোপাধ্যায়কে নিজের অফিসে ডেকে পাঠান বিডিও গার্গী দাস। প্রতারণার অভিযোগ স্বীকার করে নেন রাজেশ। এমনকী, তিনি যে বিডিও অফিসের কর্মী নন, সেকথাও জানান। এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিস।