নিজস্ব প্রতিবেদন: বাগনান ইস্যুতে ক্রমেই চড়ছে পারদ। থানায় বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ  পৌঁছনোর পরেই নতুন করে উত্তেজনা। বাগনানে ঢোকার মুখে সৌমিত্রকে আটকে দিল পুলিস। কার্যত তুলকালাম বাধে বাগনানে। বৃহস্পতিবার বিজেপি সমর্থকরা থানার গেটে বিক্ষোভ দেখায়। গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা চালানো হয়। সামনে চলে আসেন স্থানীয় বিজেপির মহিলা মোর্চারাও। লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে পুলিসের সমস্ত গার্ডরেল। সম্পূর্ণ রাস্তায় যানচলাচল ব্যাহত হয়েছে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার খানেক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  "ক্ষমতায় এলে সব রাজনৈতিক কর্মীদের মামলা প্রত্যাহার করব" চা চক্রে বেরিয়ে মন্তব্য দিলীপের


যত বেলা বাড়ছে বাগনানে বিজেপির বনধে অশান্তিও বাড়ছে।  রথতলায় জমায়েত করে বিজেপি সমর্থকেরা। তাদের সরিয়ে দিতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিস। বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থককে আটক করেছে পুলিস। এদিন সৌমিত্রর কথায়, " এবার গোটা হাওড়া জ্বলে যাবে, আমাদের ছেলেদের গ্রেফতার করা হল কেন? ওদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে" পাশাপাশি তাঁর দাবি, ঠযাঁরা সত্য়িই দোষী, খুলে আম ঘুরছে তাঁরা।" অন্যদিকে, তীব্র উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে কর্মীদের সংযত রাখতে বলেছেন সৌমিত্র খাঁ। সবমিলিয়ে তুমুল বিক্ষোভে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বাগনান। 



বিজেপির ডাকা বনধ মোকাবিলায় বাগনান জুড়ে মোতায়েন হয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী। যদিও এদিন সকাল থেকেই বাজার দোকানপাট তেমন খোলেনি। বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বাসস্ট্যান্ডে সক্রিয় পুলিস। অষ্টমীর রাতে বাগনানে গুলিবিদ্ধ  হয়ে মৃত্যু হয় বিজেপি নেতা কিঙ্কর মাজির। মৃত্যুর পরেই বারো ঘণ্টা বাগনান বনধের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বনধের মোকাবিলা করা হবে, এটা জমিজমা সংক্রান্ত অশান্তির জের। পাল্টা দাবি ছিল স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেনের। একদিকে বিজেপির বনধ অন্যদিকে  বিজেপির ডাকা বনধ ব্যর্থ করতে বিশাল মিছিল বার করে তৃণমূল।