নিজস্ব প্রতিবেদন: আবেগ আর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল। শুভেন্দু অধিকারী সহায়তা কেন্দ্রে বিজেপির পতাকা উড়িয়েই দিলেন দাদার অনুগামীরা। দাদা যে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন এবং তা আর কিছু সময়ের অপেক্ষামাত্র, সেটাই স্পষ্ট করতে চাইলেন অনুগামীরা! বৃহস্পতিবার দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন শুভেন্দু ,এমটাই জোর জল্পনা। তার আগেই খোদ শুভেন্দুর খাশ তালুকে উড়ল পতাকা। খেজুরির হেঁড়িয়ার ঘটনা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার হলদিয়ায় এক অরাজনৈতিক সভায় তাঁর নতুন পথে হাঁটার আভাস দেন। নাম না করেও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। বলেন, 'নন্দীগ্রাম আন্দোলন কারোর একার  নয় । গণতন্ত্রের পথে ফেরাতে হবে রাজ্যকে।' আবার কখনও সরাসরি দলকেই আক্রমণ করেন তিনি। 'যাঁরা আমায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন,বড় বড় পদে আছেন,  জনতা যখন গদি উল্টে দেবে আপনাদের অবস্থাও লক্ষণ শেঠ বা অনিল বসুর মতো হবে।' হলদিয়ার সভা থেকে নাম করে দলের ঊর্দ্ধতনকেই তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবারই ছিল শুভেন্দুর জন্মদিন। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনার মধ্যেই শুভেচ্ছা ফোন আসে কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের। আভাস অবশ্য ছিলই। সোমবারই রাতে জানা যায়,তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর। সূত্র আরও জানাচ্ছে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের নিরাপত্তাও বাড়ানো হতে পারে। প্রসঙ্গত যখন  রাজ্যের তিন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু ,তখন রাজ্যের তরফেই জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন এই তৃণমূল নেতা। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে রাজ্যের সেই নিরাপত্তা ছেড়ে দেন শুভেন্দু। তারপরেই তাঁকে ঐ নিরাপত্তা দিতে চায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।


আরও পড়ুন:  BJP-র রাজ্য সভাপতি হিসেবে ৫ বছর, চায়ে পে চর্চায় কেক কাটলেন Dilip Ghosh


আগামী দিনে শুভেন্দু যাতে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, মাথা উঁচু করে মানুষের সেবায় নিয়োজিত হতে পারেন ,ঠাকুরের কাছে জনতা জনার্দন এর কাছে এই কামনা জানাল। শুভেন্দু অধিকারীর জন্মদিন পালন করে অগ্নিসাক্ষী রেখে সেই কামনা জানালেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কনিষ্ক পণ্ডা সহ অনুগামীরা। 'তৃণমূল করে যা পাপ করেছিলাম, ঠাকুর যেন আমাদের ক্ষমা করে দেন। আর যারা শুভেন্দু অধিকারীর সহ অনুগামীদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন তাদের ও যেন ক্ষমা করেদেন ঠাকুর ৷ এতদিন তৃণমূল করে যে ভুল করেছি এই ভুল আর কোনও দিন হবে না ৷' শুভেন্দুর জন্মদিনে অনুগামীদের পার্টি অফিসে কেক কেটে এমনটাই বললেন শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ কণিষ্ক পণ্ডা সহ এক দল অনুগামী। 


আরও পড়ুন:  পোস্টার যুদ্ধ! Rajib banerjee-র পোস্টারে ছেয়ে গেল Howrah, Midnapur
 


সেই অগাস্ট থেকে শুরু। আমরা দাদার অনুগামী ব্যানারে তৃণমূলের পতাকা ছাড়াই মিছিল, মিটিং শুরু হয়। পরে শুভেন্দু তাতে সামিল হলেও তৃণমূল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এড়িয়ে চলারই কৌশল নেন। শুভেন্দু করছেনটা কী? আর চাইছেনটাই বা কী? কোনও স্পষ্ট বক্তব্য আসছিল না। শুধু কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা। তারই মধ্যে শুভেন্দুর সঙ্গে দূরত্ব কমানোর চেষ্টা শুরু হয়। উত্তর কলকাতার একটি বাড়িতে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন সৌগত রায় ও পিকে। তারপরেও ঘোচেনি দূরত্ব। মঙ্গলবার আরও একবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শুভেন্দুর। আর খেজুরির হেঁড়িয়ায় প্রথমে শুভেন্দু সহায়তা কেন্দ্রের রঙ গেরুয়া হওয়া ও বুধবার সকালে সেখানে বিজেপি-র পতাকা উড়তে দেখা কেবল