নিজস্ব প্রতিবেদন:   অন্যায় ভাবে  পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কিষান মোর্চার সম্পাদককে। এই  অভিযোগে গত  ৮  ডিসেম্বর কিষাণ মোর্চা থেকে পদত্যাগ করেছেন ৬০  জন বিজেপি নেতাকর্মী। কিন্তু তারপরও বদলায়নি পরিস্থিতি।  শুক্রবার বীরভূমের জেলা সদর  দফতরের সামনে অনশনে বসলেন বিক্ষুদ্ধ বিজেপি কর্মীরা।  সঙ্গে রেখেছেন কেরোসিন ও দেশলাই কাঠি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোন সুরাহা না মিললে কেরোসিন তেল ঢেলে  গায়ে আগুন  দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ারও  হুমকি দিয়েছেন বিজেপি নেতাকর্মীরা।  বলাই বাহুল্য, কেষ্টর গড়ে প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: এবার ‘X’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়েরও!


ঘটনার সূত্রপাত মাস খানেক আগে।  কিষাণ মোর্চার সম্পাদক শান্তনু মণ্ডলকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।  শান্তনুকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া মেনে নিতে  পারছে না বিজেপির একাংশ। তাঁদের দাবি জোর করে সরানো হয়েছে তাঁকে।  তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে সোমনাথ ঘোষকে।  কী কারণে শান্তনু মণ্ডলকে পদ থেকে সরানো হল, তা বারবার জানতে চাওয়া হয়েছে জেলা নেতৃত্বের  কাছে।


জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছে,  এটা রাজ্যের বিষয়। রাজ্যের  কাছে জানতে চাওয়া হলে কোন উত্তর  পাননি বিজেপি কর্মীরা।  দীর্ঘ টালবাহানার পর ৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টা  নাগাদ প্রথমে এসপি  মোড়ে  দলীয় কার্যালয়ে ও পরে বিজেপির জেলা সদর দফতরে বিক্ষোভ দেখান  বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। এরপর ও জেলা সভাপতির দেখা না পাওয়ায় পদত্যাগ করলেন ৬০ জন বিজেপি নেতা।


আরও পড়ুন: বিজেপির আইন অমান্য ঘিরে কোচবিহার-বেহালায় ধুন্ধুমার, পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি


শুক্রবার সকাল থেকে অনশনে বসেন তাঁরা।  এটাই প্রথম নয় এর আগেও রামকৃষ্ণ রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা।  যদিও বিজেপির বীরভূম জেলা সাধারণ সম্পাদক কালসোনা মন্ডলের দাবি, “বিজেপির সঙ্গে ওঁরা কোন ভাবেই যুক্ত নন।  বিজেপি হলে এমনটা করতো না। কিষান মোর্চার সম্পাদককে পদ থেকে সরানোর ব্যাপারে জেলা হস্তক্ষেপ করেনি, এটা রাজ্যের সিদ্ধান্ত।”