বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোটে কারা জয়ী? হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি
বিচারপতি বলেন, “এটা তো পুলিসের দেখার বিষয়।” আইনজীবী বিচারপতিকে জানান, “সেটা হয়নি”। তারপরই নতুন করে আবেদন করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট নিয়ে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি। আস্থা ভোটের সময় আদালতের রায় মানা হয়নি, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে মামলার উল্লেখ করা হয়। এদিন আদালতে বিজেপির আইনজীবী দেবযানী দাশগুপ্ত মামলাটি উল্লেখ করার সময়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরগুলি দেখান। বিচারপতি বলেন, “এটা তো পুলিসের দেখার বিষয়।” আইনজীবী বিচারপতিকে জানান, “সেটা হয়নি”। তারপরই নতুন করে আবেদন করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। অর্থাত্ এখনই কেউ পুরবোর্ড গঠন করতে পারবে না।
আস্থা ভোটে কারা জয়ী হয়েছে, তা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি। তৃণমূলের দাবি, তারা আস্থা ভোটে আগে এসেছে, তাই তারা জয়ী হয়েছে। সেসময় ৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলর ও একজন কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূল চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে সমর্থন করেন। বেলা সাড়ে তিনটের সময়ে অর্থাত্ আস্থা ভোটের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর ১১ জন বিজেপি কাউন্সিলর ভোটকক্ষে প্রবেশ করে। সেক্ষেত্রে তাদের দাবি, তাদের কাউন্সিলরদের ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আস্থা ভোট ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বনগাঁর পরিস্থিতি। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি কাউন্সিলররা সময়মতো হাজির হতে না পারায় ভোটাভুটিতে জয়লাভ করেছে তারা। উলটো দিকে বিজেপির দাবি, ১১ জন কাউন্সিলরের স্বাক্ষরসহ প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে একজিকিউটিভ আধিকারিকের কাছে। ফলে পুরসভার দখল করেছে তারা।
পুলিস পেটাতে লাঠি - রড নিয়ে হাজির কর্মীরা, বেগতিক বুঝে শেষ মুহূর্তে কর্মসূচি বদল করল বিজেপি
বিজেপির অভিযোগ,তাঁদের ৯ জন কাউন্সিলরকে পুরভবনে তালাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। বাকি ২ জনকে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। এই দুই বিজেপি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তৃণমূল কাউন্সিলরকে অপহরণের অভিযোগ ছিল। যদিও হাইকোর্ট অভিযুক্ত দুই বিজেপি কাউন্সিলরের গ্রেফতারির ওপর ১ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেয়। অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি দেখানো সত্ত্বেও পুলিস দুই বিজেপি কাউন্সিলরকে সময়মতো পুরভবনে ঢুকত দেয়নি। এরপরই ১ জন কংগ্রেস কাউন্সিলরের সমর্থনে ৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলর চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে সমর্থন করেন। আস্থাভোটে জিতে যান তিনি।
যদিও পরে বিজেপির কাউন্সিলররা পুরভবনে ঢুকে এক্সিকিউটিভ অফিসারের সামনে অনাস্থা প্রস্তাবে পক্ষে সই করেন। এরপর বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাস ঘোষণা করেন পুরবোর্ড বিজেপির দখলে। আস্থাভোটে তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।