নিজস্ব প্রতিবেদন: আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলেছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্ত্রী। দিনহাটায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতির মৃত্যুতে শেষপর্যন্ত দলেরই এক নেতাকে গ্রেফতার করল সিআইডি। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তখন রাজ্যে বিধানসভা ভোট দোরগোড়ায়। মার্চে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিনহাটায় বিজেপি পার্টি অফিস লাগোয়া পশু চিকিত্‍সালয়ে বারান্দায় দলের মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকারের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় বিক্ষোভের রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল এলাকা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে থানার সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এমনকী, দিনহাটার তত্‍কালীন বিধায়ক উদয়ন গুহর বাড়ির সামনে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে।


আরও পড়ুন: শুভেন্দুর হাত ধরে TMC ত্যাগ, ভোট মিটতেই BJP ছাড়লেন কোচবিহার পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক


নিহত বিজেপি নেতার ময়নাতদন্ত হয় দু'দফায়। তাতে কিন্তু আত্মহত্যার ইঙ্গিতই মিলেছিল। তদন্তের পর কমিশনে রিপোর্ট জমা দেন বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। অবসাদে ভুগছিলেন অমিত সরকার (Amit Sarkar)। বিধানসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে আরও হতাশ হন। সেই হতাশা থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এমনকী, ওই বিজেপি নেতার সঙ্গে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের উল্লেখও রয়েছে রিপোর্টে। 


আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত শান্তিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দে


এই ঘটনার পর দু'মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তদন্তে নেমে এবার বিজেপিরই নেতা চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করল সিআইডি। তদন্তকারীদের দাবি, দলের নিহত মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকার শেষবার এই চন্দনের সঙ্গেই দেখা গিয়েছিল। ধৃত ব্যক্তি অমিতকে বাড়ি ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।