নিজস্ব প্রতিবেদন : দলবদলের পরেই হামলা! মিনাখাঁয় 'আক্রান্ত' বিজেপি নেতা বাবু মাস্টার। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, বোমা ছোড়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। শরীরে একাধিক জায়গায় বোমার স্‌প্লিন্টার বিঁধে ছিল বলে জানা গিয়েছে। বাবু মাস্টারকে দেখতে রাতেই হাসপাতালে যান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও শঙ্কুদেব পণ্ডা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন বাবু মাষ্টার। শুভেন্দু দল ছাড়ার পর সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন বসিরহাটে একটি সভা সেরে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন বাবু। ফেরার পথে বাসন্তী হাইওয়ের উপর লাউহাটি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে তাঁর উপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, অন্তত ১০-১২ জন বাবু মাস্টারের কালো রঙের গাড়ি গাড়ি ঘিরে ধরে। লাউহাটি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে একটি স্পিড ব্রেকারের আগে গাড়ি আস্তে হয়ে গেলে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। প্রথমে বোমা ছোড়া হয়, তার পরে বাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।


আরও পড়ুন: হস্টেলে সিনিয়দের অকথ্য অত্যাচার! ভিনরাজ্যে র‍্যাগিংয়ের শিকার বেলঘরিয়ার কিশোর


পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার পর বাবু মাস্টারের গাড়িটিকে কোনওমতে লাউহাটি ফাঁড়ির কাছে নিয়ে যান চালক। তারপর সেখান থেকে অন্য গাড়িতে তুলে ওই বিজেপি নেতাকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার একটি হাসপাতালে। শেষ খবর অনুযায়ী, বাবু মাস্টারের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। কেন এই হামলা? ১৮ ডিসেম্বর তৃণমূল ছাড়েন বাবু মাস্টার। তারপর থেকে হামলার আশঙ্কা করছিলেন তিনি। অন্তত তেমনই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। তৃণমূলের দিকেই অভিযোগে আঙুল তুলেছেন তাঁরা। যদিএ অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যে শাসকদল।