নিজস্ব প্রতিবেদন: দলবদলের পর বিধানসভায় মুখ্য়মন্ত্রীর ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন দু'জনেই। তা নিয়ে জলঘোলাও কম হয়নি। মুকুল পর্বের পর এবার ভিন্নসুর দুই বিজেপি নেতা সুনীল সিং ও বিশ্বজিত্‍ দাসের গলায়। বিশ্বজিত্‍ আবার বাগদা কেন্দ্রের বিধায়ক। জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজনের নোয়াপাড়ার, আর একজন বনগাঁ উত্তরের। খাতা-কলমে তখন তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন সুনীল সিং ও বিশ্বজিত্‍ দাস। একুশের ভোটে আগে বিজেপিতে যোগ দেন তাঁরা। রাজনৈতিক কারবারীদের মতে, এই দলবদলের নেপথ্যে ছিলেন মুকুল রায়।


আরও পড়ুন: মুকুলের হাত ধরে সব্যসাচীরও ‘ঘর ওয়াপসি’? ঘনিষ্ঠ মহলে নীরবতা ভাঙলেন Sujit

 ফ্রেরুয়ারি মাসের ঘটনা। সেদিন বিধানসভা বাজেট আলোচনার উপর জবাবী ভাষণ ছিল। অধিবেশন শেষে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী ঘরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান নোয়াপাড়া ও বনগাঁ উত্তরের তত্‍কালীন দুই তৃণমূলত্যাগী বিধায়ক সুনীল সিং ও বিশ্বজিত্‍ দাস। তাহলে কি ফের পুরনো দলে ফিরছেন? অনেকেই ভেবেছিলেন, ওই ২ বিধায়কের 'ঘর ওয়াপসি' স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শেষপর্যন্ত তেমনটা হয়নি। বরং তড়িঘড়ি হেস্টিংসে পার্টি অফিসে সুনীল সিং ও বিশ্বজিত্‍ দাসের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন মুকুল রায়, অর্জুন সিং, কৈলাস বিজয়বর্গীয় মতো বঙ্গ তত্‍কালীন শীর্ষ নেতারা।


এবারের ভোটেও নোয়াপাড়া কেন্দ্রে ফের সুনীল সিং-কে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু জিততে পারেননি তিনি। আর বিশ্বজিত্‍ দাস? বনগাঁ উত্তর নয়, বাগদা থেকে বিজেপি টিকিটে ফের বিধায়ক হয়েছেন বিশ্বজিত্‍ দাস। কিন্তু মুকুল রায় আবার ফিরে গিয়েছেন তৃণমূলে।


আরও পড়ুন: তৃণমূলে ফিরেই BJP সাংসদ-বিধায়কদের ফোন Mukul-র, তোলপাড় গেরুয়াশিবিরে


কী প্রতিক্রিয়া সুনীল সিং ও বিশ্বজিত্‍ দাসের? নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক বললেন, 'যদি একজন সাধারণ কার্যকর্তা বিজেপি ছেড়ে যায়, তাহলেও দলে ক্ষতি হবে। মুকুল রায় তো অনেক বড় মাপের নেতা'।  তাঁর ইঙ্গিতপূ্র্ণ মন্তব্য, 'ভবিষ্যতে কী হবে, বলতে পারব না। আগামিদিনে দেখা যাবে কী হবে'। আর বিশ্বজিত্‍ দাসের কথায়, 'মুকুল রায়কে দলত্য়াগে বিজেপির ক্ষতি হবে। ওর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক'। এমনকী, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের প্রশংসাও শোনা গেল বিজেপি বিধায়কের মুখে। স্পষ্টতই বললেন, 'বাংলার মানুষ তৃতীয়বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতায় বসিয়েছে। আগামি দিনে বিধানসভায় দেখা বলে ফের কথা বলব'। 


প্রসঙ্গত, গতকাল, বিজেপি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বৈঠক ছিল। এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন খোদ দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু গরহাজির ছিলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিত্‍ দাস-সহ আরও ৬ জনপ্রতিনিধি।


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)