নিজস্ব প্রতিবেদন : 'বেসুরো' বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das)। 'মতুয়াদের ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে,' এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। সরাসরি তোপ দাগলেন বনগাঁ সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das) তোপ দাগেন, "যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁরা সবাই নাগরিক। শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করছেন। দলকে ব্ল্যাকমেইল করছেন। নিজের স্বার্থ ছাড়া মতুয়াদের (Matua) কথা ভাবছেন না। ভ্যাকসিনেশন শেষ হতে প্রায় ৫ বছর লাগবে। তাহলে মতুয়ারা নাগরিকত্ব কি সেদিন পাবে? মতুয়াদের ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে।" শুধু তোপ দাগা-ই নয়। সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের জবাবও দাবি করেছেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। 


প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই ঠাকুরনগরের সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ঘোষণা করেন, "টিকাকরণ শেষ হলেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছি। তাড়াতাড়ি-ই আপনারা সবাই ভারতের নাগরিক হিসেবে সবকা সাথ, সবকা বিকাশে সামিল হবেন। মমতাদিদি বলেছিলেন CAA হতে দেব না। কিন্তু আমরা সেই লোক, যারা যা বলে তাই করে ছাড়ে। আজ এই পবিত্র ভূমিতে দাঁড়িয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছি, ভ্যাকসিন (Vaccination) দেওয়ার কাজ শেষ হলেই আপনাদের সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে।"


অমিত শাহের এই ঘোষণার পরদিনই শান্তনু ঠাকুরকে বিঁধে বিশ্বজিৎ দাসের (Biswajit Das) বিস্ফোরক অভিযোগ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, এর আগে বাজেট অধিবেশনের শেষদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এমনকি সেদিন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন বলেও খবর। আর তাতেই সেদিন থেকে তাঁর 'ঘর ওয়াপসি' নিয়ে জল্পনা উস্কে উঠেছে। 


যদিও মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে ফের দলবদলের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das)। দাবি করেন,"৯৬ লক্ষ টাকা পড়ে আছে। আমি সম্প্রতি আরও ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দিয়েছি। টাকাগুলো কাজ করছে না, এটাই দিদিকে বলতে এসেছিলাম।" ফের তৃণমূলে যোগদান করছেন কিনা, সে প্রশ্নের উত্তরে খানিক ধোঁয়াশা রেখে এড়িয়ে যান বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক। 


আরও পড়ুন, Breaking: রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দীনেশ ত্রিবেদীর