Howrah: শ্যামপুর থানায় বিক্ষোভ বিজেপি-র; `রাজনীতি চাই না`, বললেন নিহতের স্ত্রী
পুলিসের জালে ৩ অভিযুক্ত। ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হল খুন ও পকশো আইন-সহ একাধিক ধারায়। এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস ও DYFI-ও।
শুভাশিস মণ্ডল ও রণয় তেয়ারি: মেয়ের শ্লীলতাহানিতে বাধা দিতে গিয়ে 'খুন' বাবা। পরিবার না চাইলেও ঢুকে পড়ল রাজনীতি! শ্য়ামপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে যখন থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি, তখন নিহতের স্ত্রী জানালেন, 'রাজনীতি চাই না। অপরাধীদের শাস্তি হোক'।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। সন্ধ্যায় কোচিং সেন্টার থেকে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন হাওড়ার শ্য়ামপুরের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। অভিযোগ, তার পথ আটকায় পাড়ার ৩ যুবক। কেন? ওই ছাত্রীকে নাকি কটুক্তি করছিলেন তাঁরা! তারপর? খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ওই ছাত্রীর বাবা। প্রতিবাদ করলে, তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। সোমবার রাতে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে মারা যান তিনি। গতকাল, মঙ্গলবারই ক্নিন্টন বাগ নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। এদিন ধরা পড়ে আরও ২ অভিযুক্ত শান্তনু হাপর ও টিটন বাগ। ধৃতেদের বিরুদ্ধে খুন ও পকশো আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এদিকে বেলা গড়াতেই এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শ্যামপুর। থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এমনকী, ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন থানার ভিতরেও! এরপর নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান উলুবেড়িয়া সাংগঠনিক জেলার(গ্রামীণ) সভাপতি অরুণউদয় পাল-সহ দলের নেতারা। পরিবারের পাশে থাকার ও সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তাঁরা। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন নিহতের স্ত্রী।
কেন? সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, 'তাঁদের কি দিয়ে বলানো হয়েছে, যে রাজনীতি চান না। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এমন যে, বাবা মরে গেল মেয়ের শালীনতা রক্ষা করতে গিয়ে। এটাই তো রাজনীতি বাংলার সর্বনাশ করার রাজনীতি। যাতে শাসকদলের অস্বস্তি না হয়, দুষ্কৃতীরা সমস্যায় না পড়ে, সেজন্য পরিবারের উপর চোখ রাঙানো হচ্ছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে। এটা আর একটা রাজনীতি'। এদিন শ্যামপুরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় DYFI ও কংগ্রেসও।
শ্যামপুরে যাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ, তিনি দলের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'একে বিজেপি, তারউপর সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। তাই এভাবে প্রাণ দিতে হল! স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, যাঁরা এই কান্ড ঘটিয়েছেন, শাসকদলের সঙ্গে তাঁদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে'।
আর তৃণমূল? এলাকার মানুষ ও সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণ প্রতিরোধে গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়।