বড় জয় বিজেপির, রাজ্যের নির্দেশ খারিজ করে রথযাত্রার অনুমতি দিল হাইকোর্ট
শর্তসাপেক্ষে রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রথযাত্রার অনুমতি দিল হাইকোর্ট। সরকারের রায় খারিজ করে দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চ। শর্তসাপেক্ষে রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
শর্তগুলি হল...
বিজেপিকে নির্দেশ, যেখানে রথ বেরোবে, তার ১২ ঘণ্টা আগে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে হবে।
এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে তার দায় বিজেপিকে নিতে হবে।
আইন শৃঙ্খলা বজায় পর্যাপ্ত পুলিস কর্মী মোতায়েন করতে হবে প্রশাসনকে।
এদিন আদালত ১৫ ডিসেম্বর রাজ্যের দেওয়া নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে রথের অনুমতি নয়। কীসের ভিত্তিতে গোয়েন্দা রিপোর্ট, তার ব্যাখ্যা নেই। এদিন বিচারপতি বলেন, " শুধুমাত্র কোচবিহারের ঘটনা দেখে রথযাত্রা বন্ধ করা যায় না।"
বৃহস্পতিবার সকালে সওয়াল-জবাব পর্বে থাকে টানটান উত্তেজনা। শুরুতে বিজেপির আইনজীবী যুক্তি দেন, কোন আইনে রথযাত্রার অনুমতি বাতিল করা হল তার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দেয়নি পুলিস- প্রশাসন।
এদিন সওয়াল জবাব চলাকালীন বিজেপির আইনজীবী এস কে কুমারের সওয়াল, এজি-র বক্তব্যের সঙ্গে মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। এজি রামদেবের সভা বাতিলের তুলনা দিয়েছেন।
এরপরই এস কে কুমার সওয়াল করেন, তিন শীর্ষ কর্তা আশঙ্কার কথা জানিয়ে অনুমতি বাতিল করেছেন। কিন্তু কোন আইনের বলে তা বাতিল হচ্ছে তার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা নেই কর্তাদের রিপোর্টে। ৷ তিন কর্তাকে তো ‘রিজনেবল স্ট্যান্ড’ জানাতে হবে।
এরপরই রাজ্যের এজির জবাব, “কেন এই রথকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এর পিছনে কি কারন আছে সেটা বুঝতে মুখবন্ধ রিপোর্ট খুললেই বুঝতে পারবেন।” তাঁর যুক্তি মুখ বন্ধ খামেরর ভিতরের নথিতেই স্পষ্ট লেখা কেন রাজ্য রথ যাত্রায় আপত্তি করয়েছে। এখনও সওয়াল জবাব চলছে।
প্রসঙ্গত, বিজেপির রথযাত্রাকে অনুমতি দেওয়ার প্রসঙ্গে বুধবার হাইকোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। এদিন হাইকোর্টে এজি বলেন, "বিজেপি যে গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা বলেছে, তাতে কিছু অ্যাজেন্ডা আছে। শেষ অ্যাজেন্ডায় বলা আছে তৃণমূল সাম্প্রদায়িক। হিন্দুদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।"
এরপর কীভাবে এই যাত্রাকে অনুমতি দেওয়া যায়? আদালতের কাছে সেই প্রশ্ন তোলেন এজি। উত্তরে বিচাপতি বলেন, "তাহলে কিছু শর্ত দিতে পারতেন। আগে থেকে কেন অনুমান করছেন? যখন আপনাদের ক্ষমতা আছে?" বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে এজি জানান, "রিপোর্টে সব উল্লেখ করা হয়েছে। এবার সিদ্ধান্ত আদালত নেবে।”
বৃহস্পতিবারও সওয়াল জবাব পর্বে ছিল টান টান উত্তেজনা। এদিন হাইকোর্টের রায়ে উচ্ছ্বসিত বিজেপি শিবির। এই জয়কে বাংলার মানুষের জয় হিসাবে দেখছেন তাঁরা।