নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির রথযাত্রায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা জানিয়ে জেলাশাসক ও পুলিস সুপার চিঠি দিলেন। রাজ্যের পুলিস প্রধান ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিলেন তাঁরা। এদিকে, ঠিক এই বিষয়টি অর্থাত্ এমনই আশঙ্কার প্রেক্ষিতেই আদালতে সওয়াল করেছেন এজি। তিনি জানান, রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণির মানুষের ভীতি তৈরি হচ্ছে। তাই অনুমতি দেওয়া গেল না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে রথযাত্রা হবে কি হবে না, বুধবার হাইকোর্টে সে প্রশ্নের মীমাংসা হয়নি। বিজেপির রথযাত্রায় অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। রথযাত্রার অনুমতি প্রসঙ্গে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বুধবার ছিল মামলার শুনানি। অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী জানতে চান, রথযাত্রা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা উভয়পক্ষ একসঙ্গে বসে সমাধান করতে পারে কি না? বেলা দুপুর ২টোর মধ্যে একথা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয় এজিকে।


আরও পড়ুন: 'অনুমতি দিক বা না দিক, রথযাত্রা হবেই', হুঙ্কার দিলীপের


বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে এদিন রথযাত্রা মামলার শুনানির সময় এজি বলেন, কোচবিহারে রথযাত্রায় অনুমতি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। কারণ, বিজেপির রথযাত্রায় কোচবিহার পুলিস সুপারের আপত্তি রয়েছে।


এই প্রসঙ্গে,  কোচবিহার যাওয়ার পথে ট্রেনে যেতে যেতে জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে  বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেব, “অনুমতি দিক বা না দিক, রথযাত্রা হবেই।”  তিনি বলেন, “কোনও কর্মসূচি করা প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই গণতান্ত্রিক অধিকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সেই অধিকার সব রাজনৈতিক দল পায়। সরকার বলতে পারে না যে অনুমতি দেবে না। তৃণমূল চাইছে যাতে আমরা বাধ্য হই। টেনশন হোক। ওরা যদি চায় সমস্যা হোক, সমস্যা হবে। অনুমতি দিক বা না দিক, রথযাত্রা হবেই। ”


এরপরই আইনি জটিলতা আরও বাড়ে। এজি বলেন, “বিজেপির দাবি সঠিক নয়।” র্যালি করতে গেলে যে অনুমতি লাগে, সেবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ তুলে ধরেছেন এজি। আদালতকে বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেন তিনি। কোচবিহার কেন সংবেদনশীল, সে বিষয়ে রিপোর্টে উল্লেখ করেন তিনি। এজি এদিন পূর্ব উদাহরণ দিয়ে আদালতে জানান, এর আগে কোচবিহারে যখন এধরনের মিছিল হয়েছে, তখন হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। এবারও হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সওয়াল জবাব চলছে।  এখন এই মামলার রায় বেরনো সময়ের অপেক্ষা। তবে যে পক্ষের বিরুদ্ধে রায় বেরোক না কেন, এই মামলা যে ডিভিশন বেঞ্চে যাবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত।