নিজস্ব প্রতিবেদন:  রথযাত্রা নিয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি। রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চে আবেদন করেন বিজেপির আইনজীবী স্বপ্নাংশু বসু। বিজেপি আর্জি মুঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার মামলা শুনবেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত , গত শনিবারই  বিজেপির দফতরে ফ্যাক্স মারফত চিঠি পাঠিয়ে রাজ্য সরকার জানিয়ে দেয়, রথযাত্রা অনুমতি নেই তাদের। তবে বিজেপি চাইলে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের সভার অনুমতি মিলতে পারে।   


আরও পড়ুন: মোদী-শাহের সভায় বাধা নেই, রথযাত্রায় 'না' রাজ্য সরকারের


রাজ্য সরকারের মূল আপত্তি, বিজেপির 'গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা' কর্মসূচি ৪২দিনের। এতদিন ধরে কোনও কর্মসূচি চালানো সম্ভব নয়। রথযাত্রার নিরাপত্তায় ৫০০০ পুলিস কর্মীকে মোতায়েন করতে হবে, তা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি গঙ্গাসাগরে মেলার জন্য ওই জায়গা থেকে রথযাত্রার সূচনার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। রয়েছে পৌষ মেলাও। এর মাঝে আবার ২৫ থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে থাকবে আনন্দের আবহ। এর মধ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি হলে সামাজিক উত্সবে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে মত রাজ্যের। সূত্রের খবর, জেলার পুলিস সুপাররা নবান্নকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকা উত্তেজনাপ্রবণ। সেই সব এলাকা দিয়ে রথযাত্রা হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে।


তবে নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহের সভা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার মাঝে মোদী-শাহকে নিয়ে বিজেপি যে সভার পরিকল্পনা করেছে, সেই গুলি চাইলে করতে পারে বিজেপি। রাজ্যের সিদ্ধান্ত যে মেনে নেবে না বিজেপি, তা সেদিনই তারা জানিয়ে দিয়েছিল। ফের আদালতে যাওয়ার আভাসও দিয়ে রেখেছিল তারা। সোমবার হাইকোর্টে রথযাত্রা নিয়ে ফের মামলা দায়ের করে বিজেপি। 


আরও পড়ুন: আগামী ২ দিন চলবে বৃষ্টি, বুধবার রাত থেকে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা


প্রসঙ্গত, রথযাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকার ও বিজেপিকে  বৈঠকের মাধ্যমে রফাসূত্র বার করার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ ছিল, রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বিজেপির তিন প্রতিনিধি। সেই মোতাবেক জয়প্রকাশ মজুমদার, মুকুল রায় ও প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন দিলীপ ঘোষও। গত ১৩ তারিখ লালবাজারে বৈঠক হয়। এরপরই সূত্র মারফত শোনা যায়, শর্তসাপেক্ষে রথ যাত্রায় অনুমতি দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। রথযাত্রার দিনক্ষণ নিয়ে অনড় মনোভাবাপন্ন ছিলেন দিলীপ ঘোষরা। পরে ফ্যাক্স মারফত রথযাত্রায় 'না'  জানিয়ে দেয় রাজ্য সরকার।