বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হালিসহর, আতঙ্কে দিন গুনছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে অর্জুন সিং । তাঁর দাবি ,`মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগুন নিয়ে খেলছেন। এই লাইনে খেলা বন্ধ করুন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের হালিশহর। তার রেশ এখনও কাটেনি। সোমবার সকাল থেকে বলিদাঘাটার পুরো এলাকা থমথমে। আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার দোকানপাট পুরো বন্ধ। রবিবার যে ভয়াবহতার ছবি দেখেছে এলাকার মানুষ সেই আতঙ্কে এখনও কুঁকড়ে আছেন তারা।
এদিকে রবিবার দলীয় সাংসদ অর্জুন সিং-এর উপর হামলার প্রতিবাদে কাঁচরাপাড়া-বারাকপুরের ৮৫ নং বাসরুট দফায় দফায় অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। যার ফলে সপ্তাহের প্রথমদিনে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় অফিসযাত্রীদের। একইভাবে রবিবারের ঘটনাস্থলে তৃণমূলের ছাত্রপরিষদ রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখায়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয় তৃণমূলের ছাত্রপরিষদ । ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সন্ধ্যায়।
সাংসদ অর্জুন সিং জানিয়েছেন দলীয় কর্মী হালিসহর পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান রাজা দত্তের বাড়িতে একটি ঘরোয়া বৈঠক ছিল। তিনি পৌছানোর তিন মিনিটের মধ্যেই তার চালক নিরাপত্তারক্ষীকে ওয়াকিটকি তে খবর দিয়েছিলেন সাংসদের গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। এরপর রাস্তায় নেমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন সাংসদ অর্জুন সিং। এতেই এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে । গাড়ি ভাঙচুর,গাড়িতে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি তৃণমূলের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটে। অভিযোগ যথেচ্ছভাবে গুলি এবং বোমা ছোড়া হয়। পুলিস সহ আহত হয়েছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন:লাবপুরে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য খুনে ধৃত ৫ বিজেপি সমর্থক
এই অবস্থায় কে কাকে প্রথম আঘাত করেছে তা নিয়ে সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর। তৃণমূলের নেতা এবং বীজপুরের পর্যবেক্ষক সুবোধ অধিকারী দাবি করেন, " বারাকপুর জুড়ে বিজেপি এবং অর্জুন সিং-এর উপর আস্থা হারিয়ে দলে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। এতে পায়ের তলায় মাটি হারিয়ে ফেলে পরিকল্পিতভাবে গুন্ডা দিয়ে এলাকা দখল করতে এসেছিল অর্জুন সিং। সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে । "
পাল্টা উত্তরে সুবোধ অধিকারীকে তাচ্ছিল্য করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে অর্জুন সিং। তাঁর দাবি ,"মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগুন নিয়ে খেলছেন। এই লাইনে খেলা বন্ধ করুন। এতে বাংলা জ্বলছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে বাংলার মানুষের। উনি আমাকে খুন করার পরিকল্পনা করেছেন ।"
এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। নতুন করে যাতে পরিস্থিতি আর উত্তপ্ত না হয় তারজন্য এলাকায় বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।