নিজস্ব প্রতিবেদন: বাম কংগ্রেস জোট  নিয়ে জটিলতা অব্যাহত মালদায়। জেলার ১২ টি আসনের মধ্যে ১০ টি আসনে প্রার্থী দিতে অনড় কংগ্রেস। অন্যদিকে, মালতিপুর এবং হরিশ্চন্দ্রপুর আসন দুটি ছাড়তে নারাজ আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদিও ১২ টি কেন্দ্রে তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে বলে দাবি জেলা সিপিএম সম্পাদকের। আর এই পরিস্থিতিতে জোট নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। জোটকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি।  


২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাম কংগ্রেস আসনে সমঝোতা হলেও, মালদার দুটি আসনেই বাম ও কংগ্রেস লড়াই করেছিল পৃথকভাবে। হরিশ্চন্দ্রপুর ও মালতিপুর এই দুটি আসনে কংগ্রেসের মুখোমুখি লড়াই হয়। ২ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করে কংগ্রেস। 


জেলার নটি আসনে প্রার্থী দিয়ে আটটি আসনে জয় লাভ করে কংগ্রেস। একমাত্র বৈষ্ণবনগর কেন্দ্রটি বিজেপির কাছে প্রায় সাড়ে চার হাজার ভোটে হেরে যায় কংগ্রেস। 


অন্যদিকে, ২০১৬ সালে গাজন এবং হবিবপুর কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে সিপিএম। ইংরেজ বাজারে জয় লাভ করে বাম ও কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালি সাধন রায় বলেন,'লোকসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনকে যদি প্যারামিটার ধরা হয় তাহলে বামেদের থেকে অনেক এগিয়ে কংগ্রেস। সে ক্ষেত্রে জেলার দুটি আসনেই প্রার্থী দিতে অনড়। গত নির্বাচনে বামেদের জেতা সিট গাজোলে প্রার্থী চায় কংগ্রেস'।


কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নিচ্ছে না বামশোর ফরওয়ার্ড ব্লক আরএসপি। ফরওয়ার্ড ব্লকের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গোপাল সিকদার বলেন,'হরিশ্চন্দ্রপুরের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দেবে। কংগ্রেস যদি সেখানে প্রার্থী দেয় তাহলে জেলার আরও চার থেকে পাঁচটি আসনে প্রার্থী দাঁড় করাবে ফরওয়ার্ড ব্লক। এদিকে মালতিপুর আসনটিও ছাড়তে নারাজ আরএসপি'। এই প্রসঙ্গে স্পিড জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পান্ডে বলেন,'একটি মাত্র আসনে তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।  যদিও এই বিড়ম্বনার মধ্যে রাজ্য নেতৃত্ব কোর্টে বল ঠেলেছেন জেলা সিপিএম সম্পাদক অম্বর মিত্র।


তবে সিলেটে বারোটি আসনেই যে তাদের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে সে বিষয়টিও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। বাম কংগ্রেসের জোট নিয়ে এই জটিলতার মধ্যে এই জোটকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস।