নিজস্ব প্রতিবেদন: শেষ মুহূর্তে ক্রাইসিস ম্যানেজারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন মুকুল রায়। আর তাতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নতুন প্রার্থী খুঁজে পেল বিজেপি। দলের নেতা দীপেন প্রামাণিক ওই কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বিজেপির উত্তরবঙ্গ শাখার সহ আহ্বায়ক তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার ছিল লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। আর তাতেই বাঁধে বিপত্তি। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায় মনোনয়ন পেশের আগে চাকরিতে পদত্যাগপত্র জমা দিলেও তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। ফলে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 


 



পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার রাতের ট্রেনে জলপাইগুড়ি যান মুকুল রায়। সেখানে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানসূত্র বার করেন তিনি। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ,  জয়ন্ত রায়ের ইস্তফা গ্রহণ না করে আসলে বিজেপিকে প্যাঁচে ফেলতে চাইছে শাসকদল তৃণমূল। একে বেনজির অসৌজন্য বলেও উল্লেখ করেছেন কয়েকজন বিজেপি নেতা।  


উল্লেখ্য, এতদিন কোনও প্রার্থী ভোটে জিতলে তাঁকে চাকরিতে ইস্তফা দিতে হত। নতুন নিয়মে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ভোটে দাঁড়াতে হয়। ইস্তফা যে গৃহিত হয়েছে তার প্রমাণ দাখিল করলে তবে গৃহিত হবে মনোনয়ন। 


মোদীর হাতেই দেশ সুরক্ষিত, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন জয়াপ্রদা 


সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থীর বিষয়টি জানা ছিল না। ফলে তিনি শেষ মুহূর্তে পদত্যাগপত্র পেশ করেন। যা নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে এখনো কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পদত্যাগপত্র গৃহিত না-হওয়ায় মনোয়ন পত্রের সঙ্গে তার প্রমাণও পেশ করতে পারেননি তিনি। ফলে তাঁর মনোনয়ন বাতিলের আশঙ্কা রয়েছে। নিতান্তই তেমন হলে নির্দল প্রার্থী দীপেন প্রামাণিককেই সামনে রেখে এগোবে বিজেপি।