নিজস্ব প্রতিবেদন : হরিনাম সংকীর্তনের সময় গুলিবিদ্ধ যুবক। গুলিবিদ্ধ যুবক এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। নিহতের নাম খগপতি মাহাত। বয়স ২০ বছর। অভিযোগ, খুব কাছ থেকে বুকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের জামবনীতে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তরা পলাতক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে তৃণমূল করত খগপতি। কিন্তু কিছুদিন যাবত্ তৃণমূল সঙ্গ এড়িয়ে চলতে শুরু করে। বিজেপিতে ঢোকার চেষ্টায় ছিল সে। বিজেপি কর্মী বলেই এলাকায় পরিচিত ছিল। পরিবারের অভিযোগ, সেই কারণেই খগপতিকে খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, পুরোটাই ব্যক্তিগত বিবাদ। ব্যক্তিগত বিবাদের জেরেই খুন হয়েছে খগপতি।


গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত ১টা নাগাদ ঝাড়গ্রামের জমাবনী ব্লকের বাঘুয়া গ্রামে হরিনাম সংকীর্তনের আসরে খগপতির উপর হামলা হয়। সেইসময় হরিনাম সংকীর্তন চলছিল। গ্রামের সবাই তাতেই মগ্ন ছিল। যোগ দিয়েছিল খগপতিও। ১টা নাগাদ খগপতি যখন হরিনাম সংকীর্তনের আসর থেকে একটু বাইরে বেরিয়ে আসে, ঠিক তখনই তার উপর হামলা করা হয়। শান্তনু মাহাত, কবি মাহাত ও ভানু মাহাত নামে ৩ দুষ্কৃতী খুব কাছ থেকে খগপতির বুকে গুলি করে।


আরও পড়ুন, 'এটা পাকিস্তান নয়, ভারতবর্ষ', ফতোয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ নুসরতের পাশে বিজেপি মন্ত্রী দেবশ্রী


রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে খগপতি। আর তারপরই 'হেঁটে' এলাকা ছেড়ে চলে যায় তিন জন। সঙ্গে সঙ্গেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় খগপতিকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে, পরে কলকাতায় এসএসকেএম-এ স্থানান্তরিত করা হয়েছে।


বিজেপির জেলা সভাপতি সুখময় সৎপাথী খুনের ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন। দরকারে বিজেপি কর্মীরা আইন হাতে তুলে নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, পুলিস প্রমাণ মুছতে রাস্তা ধুইয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। রাত থেকেই রাস্তা ঘিরে রেখেছে তারা।