নিজস্ব প্রতিবেদন:  বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারাকপুরের নোনাচন্দনপুকুর এলাকা। বিজেপি কর্মীদের রাস্তায় ফেলে বন্দুকের বাট দিয়ে মারধরের অভিযোগ। পাশাপাশি হামলা চলে লাঠি-বাঁশ নিয়েও। তৃণমূল কর্মীদের মারে গুরুতর আহত ১৫ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক। তাঁদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের বারাকপুর বিএন বোস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নোনাচন্দনপুকুর এলাকা এই মুহূর্তে অগ্নিগর্ভের চেহারা নিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় RAF,  পুলিস বাহিনী। রাজনৈতিক সংঘর্ষ মোকাবিলায় গিয়ে আহত হয়েছেন টিটাগড় থানার আইসি শুভ্রজিত্। তাঁর হাত কেটে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে বারাকপুর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার ১ অজয় ঠাকুর। বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাসের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



জগদ্দলে অর্জুন সিংয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। প্রথমে রেল অবরোধ, পরে সড়ক। সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল। বারাকপুর ব্রিজে সামনে গায়ের জোরে বনধ করতে যান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বাধা দেন তৃণমূলীরা। তাতেই বাধে সংঘর্ষ। বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে মাথা ফাটে ৫ বিজেপি কর্মীরা। এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। অবরোধ শুরু শ্যামনগর মোড়েও। বিজেপি কর্মীরা জোর করে এলাকায় দোকান বন্ধ করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।



নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ল লরি, গঙ্গারামপুরে ভোররাতে মৃত্যু ৪ জনের


এরপরই তার আঁচ গিয়ে পড়ে নোনাচন্দনপুকুর এলাকায়। সেখানেও একই কায়দায় জোর করে অবরোধ শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এলাকায় আগে থেকে মজুত ছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরাও। তাঁরা লাঠি, বাঁশ নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। অবরোধ তুলতে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হন তৃণমূলীরা। রাস্তায় ফেলে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আহতদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান টিটাগড় থানার আইসি। এখনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত। এলাকায় RAF।