গোসাবায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাধা, দু`পক্ষের সংঘর্ষ, এটাই রাজ্যে গণতন্ত্র! খোঁচা দেবশ্রীর
মহিলারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন, হামলা চালায় বিজেপি। পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাবুল সুপ্রিয়র পর এবার দেবশ্রী চৌধুরী। সুন্দরবনের গোসাবায় বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। গো ব্যাক স্লোগান, কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি লাঠি, রড নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীরাই হামলা করেছে বলে পাল্টা দাবি করেছে শাসক। ধুন্ধুমার পরিস্থিতির জেরে কর্মসূচি বাতিল করে ফিরতে আসতে বাধ্য হন দেবশ্রী।
দেবশ্রীর গন্তব্য ছিল সুন্দরবন কোস্টাল থানার দয়াপুর বাজার। কিন্তু গোসাবায় লঞ্চ থেকে নামতেই কালোপতাকা ও গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন বেশ কয়েকজন। বিজেপি কর্মীরা বাধা দিতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। একে অপরের সঙ্গে মারপিটে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পরিস্থিতি একটা সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন দেবশ্রী চৌধুরীও। তাঁর প্রতিক্রিয়া, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি কতটা খারাপ! কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এসেছে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায়, আর বাধা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশেই এসেছি। কিন্তু অগণতান্ত্রিকভাবে আটকানো হচ্ছে আমাকে। ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। সেটা ধামাচাপা দিতেই এসব করছে।
মহিলারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন, হামলা চালায় বিজেপি। পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের। জেলা পরিষদ সদস্য অনিমেষ মণ্ডলের দাবি, বিজেপি সমর্থকরাই মেরেছে। কে কার ঘাড়ে পড়েছে, জানি না। তৃণমূলের ৩ জন মহিলাকে মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
প্রবল বিক্ষোভ-মারপিটের জেরে পণ্ড হয় কর্মসূচি। দয়াপুর বাজারে না গিয়েই ফিরতে বাধ্য হন দেবশ্রী। গত বুধবারই রায়দিঘিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন আর এক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
আরও পড়ুন- মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া সিনেমা করা সম্ভব নয়, এখন আরও বেশি করে দরকার: মমতা