মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য ও অশোক মান্না: ভোরের আলো ফোটার আগেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা পুরসভার ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ড রোড। সন্দীপ যাদব নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে অগ্নিদগ্ধ হন সন্দীপের পরিবারের ৫ সদস্য। গুরুতর আহত অবস্থায় তারা এখন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। কীভাবে ওই বিস্ফোরণ হল তা এখন স্পষ্ট নয়। ঘটনার খবর পেয়েই চলে আসে পুলিস। গোটা ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত করেন ডিএসপি পদমর্যদার এক আধিকারিক। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান গ্যাস লিক থেকেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে সন্দীপ যাদবের বাড়িই শুধু নয় পাশের চারটি বাড়ির চালও উড়ে গিয়েছে। সন্দীপ যাদবের বাড়িতে ২টি গ্যাস সিলিন্ডার রাখা রয়েছে। আগামিকাল তারা তাদের বিহারের বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সাঁড়াশি চাপে কেষ্ট! মেয়ের কোম্পানিকে নোটিস, 'দিদি'র রাইস মিলে হানা সিবিআইয়ের


সন্দীপ যাদবের বাড়িওয়ালা জানাচ্ছেন, একটি গ্যাস কোম্পানিতে কাজ করতেন সন্দীপ যাদব। তার বাড়ি থেকে ২টি কমার্শিয়াল গ্যাস সিলিন্ডার বাইরে বের করেছেন প্রতিবেশীরা। সন্দীপের বাড়িওয়ালা বলেন, ভোরে বিকট আওয়াজ শুনে ছুটে এলাম। দেখলাম ওদের শরীর পুড়ে গিয়েছে। তবে কোনও আগুন দেখিনি। বিস্ফোরণের ফলে কোনও Splinter এর ক্ষত দেখা যায়নি। যে চারতলা বাড়িতে সন্দীপ থাকতো তার পাশের বাড়িগুলির ছাদ ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। গ্যাস লিকের ফলে যদি বিস্ফোরণ ঘটে তাহলে তার প্রভাব এতটা হয় কীভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।


মহেশতল ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন্দ্র সিং বলেন, গ্যাস লিক থেকে ওই ঘটনা ঘটেছে। যে ব্যক্তি ওই বাড়িতে থাকতো সে এইচপি কোম্পানিতে গাড়ি চালাত। বাড়ি নওয়াদায়। দিন পনের আগে ওর কাজ চলে যায়। দুই মেয়ে ও এক ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে সে থাকতো। আহতরা সবাই এখন পিজি হাসপাতালে ভর্তি। ওর বাড়িতে যখন গেলাম তখন ওখানে রবীন্দ্র নগরের আইসি ফিরোজ আলি ছিলেন। জায়গাটার নাম হল চ্রেঞ্চিং গ্রাউন্ড রোড।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)