Nadia: বেগুনি আলু! পুষ্টিগুণে বোল্ড করে সাদা আলুকে, প্রতিরোধ করে ক্যানসার, সুগার-ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণেও কার্যকরী...
Blue Violet Potato Invented by BCKV: পুষ্টিগুণেও দড়, উৎপাদনেও বড়। সাধারণ আলুর থেকে সব দিক থেকেই শ্রেয় এই বেগুনি আলু। উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে গিল বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্বজিৎ মিত্র: বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবিষ্কার বেগুনি রঙের আলু। আলু পশ্চিমবঙ্গের একটি অর্থকারী ফসল। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, হুগলি-সহ জেলার প্রতিটি প্রান্তে এখন আলুর চাষ হয়ে থাকে। অত্যধিক চাষ হওয়ার কারণে আলু চাষে সেভাবে দাম পান না কৃষকেরা। তাই আলুচাষে গতি আনতে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবন করল বেগুনি রংয়ের আলু। যার পোশাকি নাম 'কুফরি ভাস্কর' এবং 'কুফরি নীলকন্ঠ'।
আরও পড়ুন: Hooghly: টোটো নিয়ে আসছে একগুচ্ছ নতুন নীতি! এরপর কী করবেন টোটো চালকেরা...
ক্যারোটিন, আয়রন এবং জিংক-সমৃদ্ধ এই আলুতে রয়েছে যথেষ্ট খাদ্যগুণ, যা কিনা ক্যানসার, সুগার এবং মোটা হওয়া থেকে রক্ষা করে। এই আলু উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সাধারণত একটা ধারণা চালু আছে যে, আলু খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। আসলে বাজারে যে সমস্ত আলু পাওয়া যায় তাতে কোনও রকম খাদ্যগুণ না থাকার কারণেই এই আলুকে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর বলা হয়। আর এজন্যই সাধারণ এই আলু সুগার রোগীদের পক্ষেও যথেষ্ট অস্বাস্থ্যকর।
এদিকে আলু এক অতি প্রয়োজনীয় আনাজ। রোজকার ঘরসংসার থেকে শুরু করে উৎসব ও অনুষ্ঠানবাড়ি-- সর্বত্র প্রতিনিয়ত আলুর প্রয়োজন তুঙ্গে থাকে। সেখানে ক্ষতিকর জেনেও ওই চলতি সাদা আলুই খেতে হয়। এখন, এই প্রেক্ষিতে সেখানে যদি চলতি আলুর জায়গায় রঙিন আলুর ব্যবহার বাড়ানো যায়, তবে অবস্থাটা কিছুটা ইতিবাচকও হয়ে উঠতে পারে। খেলে কিছুটা হলেও স্বাস্থ্যের পক্ষে সেটা উপকারী হবে।
বিজ্ঞানীদের সৃষ্টি 'কুফরি নীলকন্ঠ' প্রতি ১০০ গ্রাম আলুতে ৮৩ গ্রাম অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা কিনা স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট প্রয়োজনীয়। আমরা যেখানে শরীরে আয়রন ও জিংকের অভাব মেটাতে মোটা টাকা খরচ করে মুঠো মুঠো ওষুধ কিনে খাই, সেখানে যদি একটা নির্দিষ্ট ধরনের আলু খেলে অনায়াসেই এসবের ঘাটতি মেটানো যায়, মন্দ কী! তাছাড়া সাধারণ আলু যেখানে প্রতি হেক্টরে ২৭ থেকে ৩২ টন পর্যন্ত হয়ে থাকে, সেখানে এই আলু প্রতি হেক্টরে ৩৮ টনের মতো হয়!
বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলু গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ সঞ্জীবকুমার দাস এবং সেখানকার প্লান্ট প্যাথলজির আশীষ চক্রবর্তী জানান, বর্তমানে পাঁচতারা হোটেলে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এই সমস্ত রঙিন আলুর। বাংলার কৃষকরাও যদি এবার এই ধরনের আলু চাষ করতে থাকেন, সেক্ষেত্রে ফল ভালোই হবে।