তথাগত চক্রবর্তী: দু'মাস আগে দেখা গিয়েছিল দু'জনকে। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না গঙ্গারানী দাস(৭৫) ও তাঁর নাতি মানস রঞ্জন দাস(২৫) ওরফে বিট্টুর। পাড়ার লোকজন তেমনটা মাথা ঘামাননি। কিন্তু শনিবার আচমকাই বদল হয়ে গেল পরিস্থিতি। বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল ২টি দেহ। সন্দেহের তালিকায় বৃদ্ধার নাতনি ও তাঁর স্বামী ভয়ংকর ওই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের জগদ্দলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আইপিএলে ফিরছেন দ্রাবিড়! লড়াইয়ে একাধিক দল, চলে এল বিরাট আপডেট


পুলিসের প্রাথমিক অনুমান খুন করে ওই বৃদ্ধা ও যুবককে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে মুখ সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়। পুলিস বৃদ্ধার নাতনি প্রিয়াঙ্কা দাস ও তার স্বামী শান্তনু দাসকে আটক করেছে। রবিবার তাদের আদালতে তোলা হবে। গঙ্গারানী দাসের ছেলে ও বৌমা কয়েক বছর আগেই মারা গিয়েছেন। বেঁচে ছিল তাদের একমাত্র সন্তান মানস। সেও আবার প্রতিবন্ধী।


বেশ কিছুদিন কোনও খোঁজ না পেয়ে শনিবার গঙ্গারানীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন গঙ্গারানীর মেয়ে ও বোন। আগেও কয়েকবার এসেছেন। কিন্তু গঙ্গারানীর হদিস করতে পারেননি। এদিন গঙ্গারানীর খোঁজখবর করলে প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর তার স্বামী তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এরপরই তাঁরা প্রতিবেশীদের বিষয়টি বলেন। বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের মুখে নতুন ঢালাই দেখেই অনেকের সন্দহ হয়। ট্যাঙ্কের ঢাকনা ভাঙতেই উদ্ধার হয় ২টি দেহ। এনিয়ে হইচই পড়ে যায় এলাকায়। জানা যাচ্ছে লোহার রড দিয়ে ওই দুজনকে মারা হয়। তারপর দেহ ফেলে দেওয়া হয়ে ট্যাঙ্কে। ঘটনা ঘটেছে কমপক্ষে দুমাস আগে। প্রাথমিকভাবে সোনারপুর তানার পুলিস মনে করছে, সম্পত্তির লোভেই এই খুন। আগামিকাল ওই ২ কঙ্কাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)