কুমিরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল মত্স্যজীবীকে, শনিবার উদ্ধার হল দেহ
ভাটা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভের শিকড়ের ফাঁকে মেলে ঝড়েশ্বরবাবুর দেহ। খবর যায় পাথরপ্রতিমা থানায়। পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মীন ধরার সময় টেনে নিয়ে গিয়েছিল কুমির। শনিবার সেই ঝড়েশ্বর মণ্ডলের দেহ উদ্ধার হল ঘটনাস্থলের কাছেই। স্থানীয়রাই খুঁজে বার করেন দেহটি।
শুক্রবার পাথরপ্রতিমার জগদল নদীতে স্ত্রীর সঙ্গে মীন ধরছিলেন ঝড়েশ্বরবাবু। কিছুক্ষণ মীন ধরার পরে তা স্ত্রীকে স্থানীয় পুকুরে ছেড়ে আসতে বলেন তিনি। সেই মতো স্ত্রী মীন ছাড়তে গেলে ঝড়েশ্বরবাবুকে টেনে নিয়ে যায় কুমির। কিছুক্ষণ পর স্ত্রী ফিরে এসে দেখেন মাঝ নদীতে কুমিরের সঙ্গে বাঁচার আপ্রাণ লড়াই চালাচ্ছেন ঝড়েশ্বরবাবু। কিছুক্ষণের মধ্যেই জলের নীচে অদৃশ্য হয়ে যান তিনি।
সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীদের খবর দেন ঝড়েশ্বরবাবুর স্ত্রী প্রতিমাদেবী। গ্রামবাসীরা এসে নৌকা নামিয়ে তল্লাশি শুরু করলেও ঝড়েশ্বরের খোঁজ মেলেনি। কিছুক্ষণ পর তল্লাশিতে যোগ দেন বনদফতরের কর্মীরা। কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান মেলেনি। এর পর রণেভঙ্গ দেন সবাই।
স্ত্রীর সামনে স্বামীকে টেনে নিয়ে গেল কুমির
শনিবার সকালে ফের শুরু হয় তল্লাশি। ভাটা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভের শিকড়ের ফাঁকে মেলে ঝড়েশ্বরবাবুর দেহ। খবর যায় পাথরপ্রতিমা থানায়। পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।