জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্যমৃত্য়ুর ঘটনায় এবার বিস্ফোরক অভিযোগ পরিজনদের। লালন শেখের এক পরিজনের অভিযোগ, সিবিআই তাদের বলে লালনকে শেষ দেখা দেখে নিন আপনারা, আর দেখতে পাবেন না! কেন একথা বলেছিলেন সিবিআই তদন্তকারী অফিসাররা। প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় শারীরির নিগ্রহের অভিযোগ করেছে পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, লালন শেখের শারীরিক পরিস্থিতি ভালো ছিল না। তাঁকে জল, খাবার-দাবারও ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছিল না। সিবিআই-এর ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন লালন শেখেন পরিবার পরিজনেরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের শৌচালয়ে উদ্ধার হয় বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের বিবস্ত্র ঝুলন্ত দেহ। আজ রামপুরহাট হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে লালন শেখের। ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে লালন শেখের দেহ। বগটুই গ্রামেই হবে লালনের শেষকৃত্য। ওদিকে লালন শেখের রহস্য়মৃত্যুর ঘটনায় এদিন সকাল থেকেই উত্তেজনা রামপুরহাটে সিবিআই ক্যাম্প অফিসের সামনে। বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন লালন শেখের পরিবার পরিজনরা। সিবিআই-কে গো-ব্যাক স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। সবমিলিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই ক্যাম্পে নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। 


ওদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে লালন শেখের পরিবার। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বীরভূম পুলিস। পাশাপাশি, এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই-ও। দিল্লিতে সিবিআই শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে ইতিমধ্যেই একটি বিস্তারিত রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, লালন শেখের মৃত্যুতে বেশ কিছু রহস্য প্রশ্ন সামনে আসছে-
১) সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মানা হয়েছিল কিনা? 
২) গাইডলাইন মেনে ৪৮ ঘণ্টা অন্তর অন্তর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছিল কিনা?
৩) বিচারপতি ডি কে বসুর গাইডলাইন মানা হয়েছিল?
৪) যে কোনও লক-আপে যে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকার কথা, সেই সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল কিনা?
৫) তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা কী ছিল?
৬) কারা সেইসময় কর্তব্যরত ছিলেন? 


কর্তব্যরত অফিসারদের বক্তব্য রেকর্ড করা হবে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, বগটুইয়ে ভাদু শেখের খুনের পর যে পালটা হামলা ও ১০ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে, তাতে মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিল এই লালন শেখ। ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল লালন। শেষমেশ ৪ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের একটি গ্রাম থেকে সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়ে লালন শেখ। তারপর থেকে তাকে রামপুরহাটে অস্থায়ী সিবিআইয়ের ক্যাম্পই রাখা হয়েছিল। সোমবার সেই অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয়েই গামছায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লালন শেখের বিবস্ত্র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যে ঘটনায় সিবিআইয়ের তরফে জেলা পুলিসকে ঘটনাটিকে 'সুইসাইডাল হ্যাংগিং' বলে জানানো হয়।


আরও পড়ুন, বাংলার মানুষের সঙ্গে বেইমানি করছে তৃণমূল! বললেন খোদ তৃণমূল নেতা-ই


'মর্নিং ওয়াকে গিয়ে মন্তব্য করি না', বেনামে দিলীপকেই আক্রমণ শুভেন্দুর!



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)