নিজস্ব প্রতিবেদন : সাত সকালে শহরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। উত্তর ২৪ পরগনার দমদমের নাগেরবাজারে একটি পরিত্যক্ত কারখানার পাশে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ঘটনায় জখম হয়েছেন ১২ জন। এমনটাই দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আহতদের মধ্যে মহিলা ও শিশুও রয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৯টা-১০টা নাগাদ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। তারপরই দেখা যায়, রাস্তায় লুটিয়ে পড়েছেন কয়েকজন। কারোর মুখে চোট লেগেছে। কারও হাতে, আবার কারোও পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। আহতদের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমদম থানার পুলিস। বর্তমানে এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, পরিত্যক্ত কারখানার পাশে একটি বহুতল রয়েছে। সেই বহুতলের নীচে রয়েছে বেশকিছু দোকান। অভিযোগ, তারমধ্যেই একটি দোকানে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।


আরও পড়ুন, ভাড়াটিয়ার পরকীয়াতে আপত্তি জানিয়েছিল স্বামী, বিয়ের ২ মাসের মাথায় চুরমার সংসারের স্বপ্ন


উল্লেখ্য, বিস্ফোরণস্থলটির ঢিলছোঁড়া দূরত্বেই রয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার পুরপ্রধান পাঁচু রায়ের ওয়ার্ড অফিস। তিনি দাবি করেছেন, বিস্ফোরণস্থলে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। ওই ব্যাগে করেই বোমা এনে মজুত করা হয়েছিল ওই এলাকায়। পুরপ্রধান পাঁচু রায়ের আরও দাবি, দুষ্কৃতীদের টার্গেট ছিলেন তিনি। কারণ প্রতিদিন সকালে ওয়ার্ড অফিসে যাওয়ার সময় তাঁকে ওই এলাকা দিয়েই হেঁটে যেতে হয়। এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।


যদিও, বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু দাবি করেছেন, সিলিন্ডার ফেটেই নাকি বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, জনৈক ব্যক্তি নাগেরবাজার উড়ালপুলের উপর থেকে একটি ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলেন। সেই ব্যাগের মধ্যেই বোমা ছিল। সব মিলিয়ে বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে।


আরও পড়ুন, গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে গিয়ে জাতির জনককে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির


বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। বিস্ফোরণস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের ফলে বহুতলের বেশ কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত। জনবহুল এলাকায় এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।