নিজস্ব প্রতিবেদন : কামারহাটি বিস্ফোরণের ঘটনায় বাড়িমালিক শাহাজাদা হুসেনকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতের বিরুদ্ধে বেলঘড়িয়া থানার পুলিস খুন ও বিস্ফোরণ আইনে মামলা রজু করেছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পেরেছে, ওই ঘরের মধ্যে ব্যাগে বোমা মজুত করে রাখা ছিলো। সেই ব্যাগ সরাতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। কী কারণে বোমা মজুত করা হয়েছিল, কী ধরনের বোমা মজুত করা হয়েছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এদিন কামারহাটি বিস্ফারণস্থলে আসে ৩ জন প্রতিনিধির ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের একটি দল। ঘটনাস্থল ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। ব্যারাকপুরের পুলিস কমিোসনার মনোজ ভার্মা বলেন, ফরেন্সিক তদন্তের পরই জানা যাবে কী ধরনের বিস্ফোরণ এখানে ঘটেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও থমথমে বেলঘড়িয়ার কামারহাটি ক্রিক রোড এলাকা। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙ্গে গিয়েছে ঘরের দেওয়াল। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দেওয়ালের ভগ্নাবশেষ। শুধু দেওয়ালের ভাঙা টুকরোই বা বলি কেন, ঘর থেকে রাস্তায়, সর্বত্র এখনও পড়ে রয়েছে মৃত ও আহতদের চাপ চাপ রক্ত। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিস। বিস্ফোরণের ঘটনায় তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়েছে কামারহাটি এলাকায়। এই ঘটনায়  মুখে কুলুপ এঁটেছেন আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। তার মধ্যেই কেউ কেউ এগিয়ে এসে সাহস করে বলেন, গতকাল বিস্ফোরণের তীব্র আওয়াজ বহু দূর থেকে শোনা যায়। বোমা বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ তাঁদের সাড়া রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। তবে তাঁদের দাবি, কারা এই বোম বানাচ্ছিল, তা ঘুণাক্ষরেও কেউ এতদিন বুঝতে পারেনি।


প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় কামারাহাটিতে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ২ ব্যক্তির। গুরুতর জখম হন আরও একজন। উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির গোলিঘাট এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম শেখ রাজু। বয়স ৩৫ বছর। অন্য জনের নাম মহম্মদ শাহিদ। বয়স ৩০ বছর। গুরুতর জখম হন মহম্মদ আনিশ বলে আরও একজন। বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্রই গতকাল ঘটনাস্থলে আসে বেলঘড়িয়া থানার পুলিস। বিস্ফোরণস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শেখ রাজু ও শাহিদকে। দুজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা শেখ রাজু ও শাহিদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 


আরও পড়ুন, তিলজলায় বাড়ির ভিতরে মিলল গৃহবধূর গলা কাটা দেহ, ধৃত স্বামী