নিজস্ব প্রতিবেদন:  “আমি বনগাঁর বাইরে। আদালত যা বলবে আমরা শুনব। কোথাও ভর্তসনা করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।”  হাইকোর্টের মন্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



ফোনে জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধিকে তিনি আবারও বলেন, “কোথাও ভর্তসনা করা হয়েছে বলে জানি না। আমরা সবটা আইন মেনেই করেছি। তবে আদালত যা বলবে, আমরা তা শুনব। ”


প্রসঙ্গত, শুক্রবার বনগাঁ অনাস্থা ইস্যুটি হাইকোর্টে ওঠে। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে চরম ভর্তসনা করেন হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ সঙ্গে নেই, তবুও চেয়ার আঁকড়ে আছেন? আপনি এত নির্লজ্জ কেন?”


এদিন আদালতে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠের আনা প্রস্তাব মানা হয়নি। এটি গণতন্ত্রের পক্ষে ভুল।” এরপরই তিনি বলেন, “চেয়ারম্যান কাউন্সিলরদের আটকে দিয়েছে। এটি অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে।” আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বলেন, “চেয়ারম্যানকে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ দিতে হবে।”


তাড়াহুড়ো করে অনাস্থা কেন? প্রশ্ন তুলে হালিসহর অনাস্থায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের


উল্লেখ্য, এদিন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা মামলা। তাতেই এই পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। এদিন আদালত জানায়, বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট নিয়ম মেনে হয়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠের মত প্রতিফলিত হয়নি আস্থাভোটে। যা গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ঙ্কর।


গত সোমবার বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোট ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে। লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বনগাঁর একদল কাউন্সিলর। এর পরই পুরপ্রধান শংকর আঢ্যকে সরাতে অনাস্থা আনে বিজেপি। পুরসভা দখলে রাখতে এরপর প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু আদালতের নির্দেশে সেই চেষ্টাতেও জল পড়ে।