নিজস্ব প্রতিবেদন: একটা দড়ি দিয়েই ঘরের মধ্যে দুটি বাঁশের খুঁটিতে ঝুলছে দুই বান্ধবী। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি থানার বেনালী এলাকার কানাই কলোনিতে। অন্তরঙ্গ বললেও কম বলা হবে, পপিতা বিশ্বাস এবং রিয়া বিশ্বাস এরা দুজনে ছিল এক আত্মা এক প্রাণ। চব্বিশটি ঘন্টা এরা একসঙ্গে থাকত। খাওয়াদাওয়া চলাফেরা সবকিছুই ছিল একসঙ্গে। শুধুমাত্র রাতে যে যার বাড়ি ঘুমোতে যেত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রিয়া বিশ্বাস (২৩), তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী । বগুলা কলেজে পাঠরত । আর পপিতা বিশ্বাস (১৯), উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন এই বছর। আগামিকাল অর্থাত ১৭ জুলাই ফল বেরতো তাঁর। পপিতার বাড়িতে একসঙ্গে দুজনের দেহ মিলেছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা। দুজনের কাছ ছেতে সুইসাইড নোট মিলেছে। রিয়া বিশ্বাস চার পাতার সুইসাইড নোটে জীবনের নানা কথা লিখে গেছেন। একটু বেপরোয়া মনোভাবের রিয়া। বাড়ির সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঝামেলা হত বলে জানা যায়। সুইসাইড নোটের শেষ বাক্যে লিখেছে নানাকারণে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম।



আর পপিতার পরিবারের দাবি,  সুইসাইড নোটে পরিবারের আর্থিক অনটনের কথা উল্লেখ করে গিয়েছে ওদের মেয়ে। রিয়ার জীবন কেন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন থাকলেও পপিতার পরিবারে সত্যি আর্থিক অনটন ছিল বলে জানাচ্ছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।


পপিতার কাকিমা সুনীতা বিশ্বাস জানান, সুইসাইড নোটে পরিবারের আর্থিক অনটনের কথা উল্লেখ করে গিয়েছে। ওর বাবা ওড়িষাতে দিনমজুরের কাজ করে। বেশ কিছুদিন আগে ঘর করে বাজারে অনেক টাক ঋণ হয়ে যায়। যা নিয়ে সম্প্রতি সমস্যাও তৈরি হয়েছিল।


আরও পড়ুন: ৭ দিন সম্পূর্ণ লকডাউন উত্তর দমদম, করোনা আতঙ্কে বন্ধ হল দক্ষিণ দমদম পুরসভাও


রিয়ার বাবা বাহরিনে থাকেন। সেখানে দিন মজুরের কাজ করেন। তবে তিন ভাইবোন আর মাকে নিয়ে অভাব ছিল না রিয়াদের।
জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠা আর পরিবারে আর্থিক অনটন রিয়া এবং পপিতার মৃত্যুতে আপাতত এই তথ্য সামনে এলেও অন্য একটি তত্ত্বও উঠে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দাদারা জানাচ্ছেন, এদের দুজনের প্রেমিক ছিল একই ব্যক্তি। গভীর বন্ধুত্ব আর প্রেমিক এটা দুজনের কাছে হয়ে উঠেছিল শাঁখের করাত। এই টানাপোড়েনেই আত্মহত্যা বলে দাবি এলাকার মানুষের। তবে পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান এটা আত্মহত্যা। কেন আত্মহত্যা করল সেই তদন্তের জন্য সব পথ খোলা রেখেই এগোতে চাইছে পুলিস।