নিজস্ব প্রতিবেদন: একদিকে পনের দাবি, অপর দিকে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলে তালাকের হুমকি এই দুয়ের জাঁতাকলে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন জারিনা। চাঞ্চল্য রাজগঞ্জের ঘোষ পাড়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জলপাইগুড়ি মাল মহকুমার কুমারপাড়ার বাসিন্দা পেশায় সূত্রধর অজিত হুসেনের সঙ্গে গত ১৩ তারিখ মোহোর হয়েছিল রাজগঞ্জের ঘোষপাড়ার বাসিন্দা জারিনা খাতুনের। ওই দিন পাত্র পক্ষের দাবি মেনে পণের ১,৫০,০০০ টাকা এর মধ্যে মুয়াব্জা ৩০,০০০ টাকা দেয় জরিনার পরিবার। অভিযোগ,  সোমবার রাতে পাত্রের ফোন আসে। পনের বকেয়া টাকা দেওয়ার চাপ এর পাশাপাশি  বলা হয়, কন্যা সন্তানের জন্ম দিলে সন্তানকে হোমে পাঠানোর পাশাপাশি জরিনাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেন অজিত হুসেন। মঙ্গলবার ভোরে রান্নাঘর থেকে  জারিনার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রসঙ্গত সোমবারই কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন জরিনার দিদি।


আরও পড়ুন - ঘর থেকে উদ্ধার সদ্য বিবাহিত দম্পতির ঝুলন্ত দেহ, অনার কিলিং? দানা বাঁধছে রহস্য


কাকা জামালুদ্দিন হুসেন জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার মোহর হয়েছিল। সেই সময় ৩০,০০০ টাকা দিয়েছি। আমার ভাই কেরালে কর্মরত। সে টাকা নিয়ে ফিরলে বকেয়া মেটাতাম। 


জরিনার জামাইবাবু শাহজাহান আলি জানিয়েছেন, `আমার দুই কন্যাকে নিয়ে আমি খুব খুশি।আমার স্ত্রীর কন্যা সন্তান হওয়ার খবর পেয়ে গতকাল রাতে অজিত হুসেন ফোন করে প্রথমে টাকার চাপ দেয়। পরে বলে, তোর মেয়ে হলে তালাক দেব। 


ঘটনার অভিযোগ আমাদের কাছ থেকে শুনবার পর জলপাইগুড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখার্জী জানিয়েছেন অত্যন্ত মর্মান্তিক অভিযোগ। আমাদের লিখিত দিলে ঘটনার পূর্নাংগ তদন্ত হবে।